সরকারি নির্দেশনা ও সিলেবাসের বাস্তবতা

হাসান হামিদ

আমি যখন আমার পরিবার, আত্মীয় বা পাশের ফ্ল্যাটের কোন বাচ্চাকে স্কুল ব্যাগ কাঁধে দেখি, তখন আমি ভয়াবহ রকম শঙ্কিত বোধ করি। আমি জানি বিরাট এই ব্যাগে অতি অপ্রয়োজনীয় অনেকগুলো বই আছে, যেগুলো এই বয়সে তার শেখার কোনো দরকার নেই। সাত বছরের একটি শিশু বিভিন্ন মহাদেশের নাম-দাম আয়তন জানা কি জরুরী? প্রাইভেট স্কুল তাদের ঠাট-বাট ঠিক রাখতে হামলা চালিয়ে চলেছে আমাদের কোমল সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে। সরকার এ বিষয়ে নানা সময় নানা কথা বলে থাকে, কিন্তু কাজের বেলায় শিক্ষক হয়রানি ছাড়া এখনকার ব্যবস্থায় আর কিছু নেই। আসল সমস্যা ভুলে অথবা পাশ কাটিয়ে কর্তাব্যক্তিরা ভুল চিলের পেছনে লাফ-ঝাফ করছে অনেক দিন ধরে।

অথচ শিশুর শরীরের ওজনের দশ শতাংশের বেশি ব্যাগ বহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত হাইকোর্ট পূর্ণাঙ্গ রায় দিয়েছেন তিন বছর আগেই। প্রকাশিত সেই রায়টি ছিল ৩৬ পৃষ্ঠার। রায়টি লিখেছিলেন হাইকোর্টের বিচারক বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী। মূলত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভারিব্যাগ বহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে রায় ঘোষণা করেছিলেন আদালত। রায়ে বলা হয়েছিল, শিশু শিক্ষার্থীদের ব্যাগের ওজন কী পরিমাণ হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো আইন নেই। দেখা যাচ্ছে নানা ধরনের সিলেবাসের কারণে শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে ভারিব্যাগ বহন করতে হচ্ছে। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় এজন্য সরকারকে আইন প্রণয়নের নির্দেশ দেয়া হলো। রায়ের কপি পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যে সরকারকে এ বিষয়ে আইন প্রণয়ন করতে হবে। রায়ে দশ শতাংশের ওজনের বেশি নয় এমন স্কুল ব্যাগ শিশুদের বহনের বিষয়টি নজরদারি মধ্যে রাখার বিষয়ে এক মাসের মধ্যে পরিপত্র জারি করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে কোনো স্কুল কর্তৃপক্ষ যদি শিশুদের ওই ওজনের বেশি স্কুলব্যাগ বহন করতে বাধ্য করে তাহলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। একই সঙ্গে শিশুর পিতা-মাতার সচেতনতা সম্বলিত নির্দেশনার পরিপত্র জারি করতে বলা হয়েছিল।

এরপর অনেক প্রতীক্ষা শেষে এই বছর বিদ্যালয়গামী শিশুদের ব্যাগে সরকার অনুমোদিত বই ও উপকরণ ছাড়া অন্য কিছু না দিতে অভিভাবক ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করে সেটি এখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হচ্ছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের শরীরের ওজনের ১০ শতাংশের বেশি ভারী স্কুলব্যাগ বহন নিষেধ। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিপত্রে বলা হয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রাথমিক বিদ্যালয়গামী শিশুদের জন্য যেসব বই অনুমোদন করেছে, তা পরিবহনে কোনো ছেলেমেয়ের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আদালতের নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে বলা হয়, ভারী ব্যাগ বহনের কারণে যাতে পিঠে ব্যথা বা সোজা হয়ে দাঁড়ানোর মতো সমস্যা দেখা না দেয়, সে জন্য অনুমোদিত বই, উপকরণ ছাড়া অন্য কিছু ব্যাগে করে বিদ্যালয়ে বয়ে আনা নিরুৎসাহিত করতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সব শিক্ষক, বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি ও অভিভাবকদের এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে হাইকোর্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের শরীরের ওজনের ১০ শতাংশের বেশি ভারী স্কুলব্যাগ বহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সুনির্দিষ্ট একটি আইন প্রণয়ন করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। রায় পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যে এই আইন করতে আইনসচিব, শিক্ষাসচিব, গণশিক্ষাসচিবসহ বিবাদীদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আইন হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রাথমিকে যাওয়া শিশুদের শরীরের ওজনের ১০ শতাংশের বেশি ওজনের ব্যাগ বহন করা যাবে না বলে নতুন করে একটি সার্কুলার জারি করতেও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এখন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর পরিপত্র জারি করে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিল। ওই রায়ে বলা হয়েছিল, ভারী ব্যাগ বহনের কারণে কোমলমতি শিশুদের মেরুদণ্ডের হাড় বাঁকা হয়ে যায়। এতে শিশুর স্বাস্থ্যগত জটিলতা দেখা দেয় ও শিশুরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ে। শিশুরা যদি এই ভারী ব্যাগ বহন করতে থাকে, তাহলে তারা কখনো সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারবে না। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে না পারলে তারা সুনাগরিক হিসেবে বেড়ে উঠতে পারবে না। ফলে সমগ্র জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে হবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে।

আমরা এটা সবাই জানি,  সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সাধারণত সরকার-নির্ধারিত বই পড়ালেও শহরকেন্দ্রিক বিদ্যালয়গুলো, বিশেষ করে বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো নির্ধারিত বইয়ের পাশাপাশি আরও কিছু বাড়তি বই পড়তে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করে। বইয়ের পাশাপাশি অতিরিক্ত খাতাসহ আরও কিছু উপকরণও তারা চাপিয়ে দেয়। এই চর্চা দীর্ঘদিন ধরে চলে এলেও সরকার কখনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। এর আগে ২০১৪ সালের ১১ ডিসেম্বর সরকার একটি সার্কুলার জারি করলেও তা কার্যকর হতে দেখা যায়নি। এ ব্যাগ বহনের বিষয়ে বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের কোনো বিদ্যালয়ে নজরদারিও দেখা যায়নি।

শিক্ষার নামে শিশুর ওপর মাত্রাতিরিক্ত বইয়ের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। সরকারী নির্দেশনায় নির্ধারিত বইয়ের বাইরে শ্রেণীকক্ষে শিশুদের বাড়তি কোন বই পড়ানোর নিয়ম না থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। শুধু যশোরের ২৭৩ কিন্ডারগার্টেনে সরকারের দেয়া বিনামূল্যের বইয়ের বাইরে পড়ানো হচ্ছে অতিরিক্ত পাঁচ থেকে আটটি বই। এছাড়া জেলার বেসরকারী স্কুলগুলোতেও শিশুদের মাত্রাতিরিক্ত বই পড়ানো হচ্ছে। ফলে মানসিক চাপে শিশুর মেধা বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি স্বীকার করলেও কার্যত কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না।

আমাদের দেশের অধিকাংশ শিশু শিক্ষার্থীর ওপর বইয়ের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন প্রিক্যাডেট বা কিন্ডার গারটেন স্কুলে সরকারী বইয়ের বাইরে বই পড়ানো হচ্ছে। শিক্ষকরা শ্রেণীকক্ষে এসব বই কিনতে বলছেন। এসব অতিরিক্ত বইয়ের কারণে শিশুদের ওপর শুধু মানসিক চাপ পড়ছে না, তাদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে। শিক্ষার নামে এই অত্যাচার শিশুদের মানবিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত করছে। তাদের শৈশব চুরি করা হচ্ছে। শিক্ষার প্রতি ভীতি তৈরি হচ্ছে। এই মানসিক অত্যাচারের শিকার শিশুরা যখন বড় হবে তখন জাতিগতভাবে আমাদের মানবিক সঙ্কট দেখা দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ইংরেজি কারিকুলাম শব্দটির বাংলা পরিভাষা হিসেবে শিক্ষাক্রম, পাঠ্যক্রম, পাঠক্রম ইত্যাদি শব্দগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশে কারিকুলাম শব্দের প্রতিশব্দ হিসেবে শিক্ষাক্রম ব্যবহার করা হয়েছে। আভিধানিক অর্থে শিক্ষাক্রম বোঝায় । শিক্ষা পরিকল্পনা; যা বাস্তবায়নের জন্য বিদ্যালয় কর্তৃক পরিকল্পিত ও পরিচালিত যাবতীয় শিখন-শেখানো কার্যাবলি যা বিদ্যালয়ের ভিতরে বা বাইরে দলগত বা এককভাবে সম্পন্ন করা হয়, তাকে কারিকুলাম বলে। আমাদের সরকারি কারিকুলামকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমতো মনগড়া এসব সিলেবাস আমাদের শিশুদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে, আমরা কি ভাবছি? Top of Form

Bottom of Form

স্কুল শিক্ষকরা হয়তো ভাবছেন- ‘মুর্খ’ অভিভাবকের দল। ঢাকার স্কুলগুলোর অসিহিষ্ণু প্রতিযোগিতার হাওয়া শহর মফস্বলেও ছড়িয়ে গেছে। সেই দিন বোধহয় দূরে নয় যেদিন আমরা আমাদের শিশুগুলো সহ নতুন একটি দূরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হবো। যে রোগের নাম স্কুল প্রতিবন্ধী। আমরা সচেতন অথচ বোকা বাবা-মা’রা কি একবার দেয়াশলাই এর বাক্স থেকে দেয়াশলাই এর কাঠির মতো বেড়িয়ে আসতে পারি? আসুন সচেতন বাবা-মারা চিৎকার করে বলি- আমরা আমাদের সন্তানদের এমন ভবিষ্যৎ দিতে চাই না। এমন শিক্ষা দিতে চাই না যাতে ওরা মানুষ হবে না। আসুন ওদের মানুষ বানাই। ওরা সবুজ দেখুক। নাইবা হলো প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয়। যাক না ওরা বাংলাদেশের নদীর কাছে। নাইবা হলো কবিতায় প্রথম তবু কবিতা চিনুক। ছুটির দিনগুলোতে ওরা যেন একবার গ্রামের ফসলতোলা দেখতে পায় যেন দাঁড়াতে পারে কৃষকের পাশে। ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে যেন খড়ের গাদায় জোনাকির জ্বলে থাকা দেখতে পায়।

প্রিয় প্রধানমন্ত্রী আপনি কি আমার আজকের সন্তানদের চেয়ে স্কুলে অনেক কম পড়ার চাপ নিয়েও আজ দেশ সামলাচ্ছেন না? প্রিয় শিক্ষামন্ত্রী আপনি কি আপনার স্কুল জীবন এতো দূর্বিসহ চাপের মধ্যে কাটিয়েছেন? প্রিয় শিক্ষা সচিব শিক্ষক মহাদয়- আপনারা? আপনাদের স্কুলে আনন্দের গতিধারায় কি আপনারা ভেসে বেড়াননি? তাহলে আমাদের সন্তানদের অপরাধ কোথায়? যে শব্দ ওরা এখনও উচ্চারণ করতে শেখেনি সেই শব্দের জটিল ব্যাকরণ আপনারা কেন চাপিয়ে দিচ্ছেন ওদের ওপর। ওদের পিঠের ওপর একটি ফুলের বোঝা দিন। ওদের দশটি ফুলের বোঝা এমনি চাপালে সব ফুলই নষ্ট হয়ে যাবে। ওরা একটি ফুলও রক্ষা করতে শিখবে না। আমাদের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থায় ঘোর আমাবস্যা চলছে। জানি না এই অন্ধকার কবে কাটবে। কবে আমরা ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবকরা পাঠ্য বই এবং শিক্ষকদের কড়া চোখ থেকে রেহাই পাবো!

লেখাটি শেষ করবো উন্নত দেশের কারিকুলামে কী কী পরিবর্তন আনার চিন্তা হচ্ছে তা বলে। আমরা জানি, ফিনল্যান্ডের শিক্ষাব্যবস্থা বিশ্বের অন্যতম সেরা হিসেবে পরিচিত। আর এ দেশটিই যখন শিক্ষাক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনে তখন তা অন্যদের গুরুত্বের সঙ্গেই দেখা উচিত। সম্প্রতি ফিনল্যান্ড শিক্ষাক্ষেত্রে যুগান্তকারী এ পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। এতে তারা বিষয়ভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থাকে বাদ দিয়েছে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ব্রাইট সাইড। ফিনল্যান্ডের নতুন এ শিক্ষাব্যবস্থাকে সত্যিকার অর্থেই বৈপ্লবিক পরিবর্তন বলা যায়। কারণ বহু আগে থেকে আমরা যেভাবে পড়ে আসছি, সে পদ্ধতি এবার বাদ দেওয়া হচ্ছে দেশটির শিক্ষাব্যবস্থায়। স্কুলের শিক্ষা থেকে তারা বিষয়ভিত্তিক পড়া বাদ দেওয়ার ফলে বিজ্ঞান, অংক, সাহিত্য, ইতিহাস কিংবা ভূগোল কি বাদ হয়ে যাবে? এ প্রশ্নের উত্তরে জানা গেছে, হ্যাঁ, এসব সাবজেক্ট পড়ানো হবে না। সম্প্রতি ফিনল্যান্ডের শিক্ষা বিভাগের প্রধান মারজো কাইলোনেন এ শিক্ষাব্যবস্থার বিস্তারিত জানিয়েছেন। তার কথাতেই উঠে এসেছে এ ব্যবস্থার নতুনত্ব। সাবজেক্ট বা বিষয়ভিত্তিক পড়া যদি উঠিয়ে দেওয়া হয় তাহলে কিভাবে পাঠদান করা হবে স্কুলে? শিক্ষার্থীরা মূলত বিভিন্ন বাস্তব ঘটনা ও পরিস্থিতির পাঠ নেবে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। অর্থাৎ সেই বিষয়গুলোই তারা পড়বে। তবে তা বাস্তবতার আলোকে।

ফিনল্যান্ডের এ যুগান্তকারী শিক্ষাব্যবস্থার উদাহরণ হতে পারে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধর পাঠ। বিশাল এ ঘটনাকে শিক্ষার্থীরা দেখবে ইতিহাস, ভূগোল ও অংকের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। অর্থাৎ তারা এ যুদ্ধের ইতিহাস পড়ার পাশাপাশি ভূগোল ও অংকও শিখে নেবে। একই ধরনের আরেকটি উদাহরণ হতে পারে ‘একটি ক্যাফেতে কাজ করা’। এ কোর্স থেকেই তারা ইংরেজি, অর্থনীতি ও যোগাযোগের দক্ষতা শিখবে। এ ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, শিক্ষার্থীদের নিজেদের পছন্দের বিষয় বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা। শিক্ষার্থীরা যেসব বিষয়ে আগ্রহী এবং সক্ষম, সেসব বিষয়কেই বেছে নিতে পারবে। ফিনল্যান্ডের এ নতুন শিক্ষাব্যবস্থা এখনও যাচাই-বাছাই এর পর্যায়ে রয়েছে। ২০২০ সালে এ ব্যবস্থা চালু করা হবে বলে তাদের সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

প্রকাশিত পত্রিকা-

শিক্ষাবার্তা  ১৩/১১/২০১৭

দৈনিক শিক্ষা ১৪/১১/২০১৭

সরকারি নির্দেশনা ও সিলেবাসের বাস্তবতা
Scroll to top