শব্দ-সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষ কিছু ভাবছেন?

হাসান হামিদ

আশেপাশে তাকালে ভাবনা আসে। ভাবনাটি এই, চারপাশে যা হচ্ছে, তাতে মনে হয়, আমাদের বর্তমান যুগটাই যেন জোরে শব্দ করবার, ঝলমলে পোশাক পরবার, নিজ পয়সা ও ক্ষমতা ঝলকাবার। কিন্তু এ তো ভালো লক্ষণ নয়। আজকের লেখার শুরুতেই মেক্সিকোর এক প্রজাতির মাছের কথা বলি। মেক্সিকোর এক বিশেষ প্রজাতির ব্যবহার দেখে কিছু জীববিজ্ঞানী চমৎকৃত হয়েছিলেন। কারণ মাছের এই প্রজাতির সদস্যরা যৌনতাকালীন এমন ভয়াবহ শব্দ করে যে পার্শ্বস্থ জলাঞ্চলে অন্য স্তন্যপায়ী প্রাণীরা সাময়িক বা চিরকালীন রূপে বধির হয়ে যায়। এই মাছগুলো যে ‘মেটিং কল’ করে, তাহাতে মেশিনগানের গুলির মতো শব্দ হয়। আর যখন তারা প্রতি বছর বসন্তকালে লক্ষ লক্ষ পুং-স্ত্রী এক জায়গায় সমবেত হয়ে মুহুর্মুহু ওই ধরনের আওয়াজ করতে থাকে, তখন যে প্রচণ্ড শব্দ উৎপন্ন হয়, তাতে কত বেচারা ডলফিনের যে আত্মারাম খাঁচা ছাড়বার উপক্রম হয়েছে, সেই হিসাব কে রাখবে। এই সমবেত যৌনতার সঙ্গে একালের যুব ও তরুণ সম্প্রদায়ের পার্টি-উল্লাসের মিল খুঁজে পাওয়া যায়। কোনো একটা সামান্য উপলক্ষকে ছুতা ধরে অনেক এলাকায় বিভিন্ন আয়োজন চলে। অনেক ক্ষেত্রেই এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করে উচ্ছৃঙ্খল ও বখাটে যুবকেরা। পাড়া-প্রতিবেশী এমন উৎকট আয়োজন উপভোগ করা দূরে থাক, বরং কষ্টে পড়ে যায়। কিন্তু এর কোনো প্রতিকার তারা করতে পারে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই উচ্ছৃঙ্খল যুবকেরা স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক গোষ্ঠীর ছত্রছায়ায় থাকে। তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেলে মান-ইজ্জত খোয়াতে হতে পরে। ফলে সব মুখ বুজে সহ্য করা ছাড়া উপায় থাকে না। আছে বিভিন্ন ব্যান্ড পার্টির উৎপাত আয়োজন। রাত গভীরে এই উচ্চ আওয়াজে আশপাশে অসুস্থ বৃদ্ধ মানুষেরা দিশেহারা হয়ে যান। গভীর রাতে সব মধুর আওয়াজই বিকৃত শোনা যায়। সাধারণ মানুষ খুব কমই এ ধরনের আওয়াজ শুনতে পছন্দ করেন। শব্দদূষণ নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে কোনো ধরনের সচেতনতা তৈরি হয়নি। ফলে এই দূষণ কষ্টকে তারা নিজের অজান্তেই মেনে চলছে।

মাইক বাজানোর রীতি আমাদের দেশে সবখানে আছে। এলাকায় এলাকায় মাইকের দাপট ভয়াবহ রকম বেড়ে চলেছে। বর্তমানে দেখা যায়, ল্যাম্পপোস্টে-ল্যাম্পপোস্টে চোঙা। আজ ধর্মীয় অনুষ্ঠান, কাল বিশেষ দলের সভা, বিভিন্ন জাতীয় নেতার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী, স্বাস্থ্যশিবির, কাল রক্তদান শিবির, পরশু ফুটবল-ক্রিকেট। ভালো। কিন্তু সবেতেই মাইকের এত উৎপাত কেন? আমরা রিকশা, ভ্যান ও মিনিভ্যান থেকে রাস্তায় মাইকিংয়ের মাধ্যমে নানা ধরনের সরকারি-বেসরকারি প্রচারণা চালাতে দেখি যেগুলো গুরুতর শব্দদূষণ করে থাকে। এছাড়াও জোরে জোরে চিৎকার, ঝগড়াঝাটি, মারামারি, সড়কে ক্যানভাসারদের প্রচারণাও নানা মাত্রায় শব্দদূষণের সৃষ্টি করছে। প্রসঙ্গত, জাপানে কারো বাসায় কেউ মারা গেলে বাড়ির মানুষ উচ্চস্বরে কাঁদে না বা শোক প্রকাশ করে না; কারণ হলো তাতে পাশের বাড়ির মানুষের সমস্যা হতে পারে। অথচ আমরা একই পৃথিবীর মানুষ, আমরা অকারণে অন্যের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করি।

বিজ্ঞান বলছে, মানুষেরা সাধারণত কথা বলে ৬০ ডেসিবেলে (সাউন্ডের একক ডেসিবেল)। ৮৫ ডেসিবেলে বেশিমাত্রার শব্দ মানুষের জন্য ক্ষতিকর। কতটা আওয়াজ গ্রহণযোগ্য হতে পারে সেসব বিষয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, হোটেল ও অফিসে মানুষ ৬০ ডেসিবেল সাউন্ডে কথা বলে। বাসাবাড়িতে কথা বলে ৫০ ডেসিবেলে। পাখির গুঞ্জন, লাইব্রেরি ও টেবিলে মানুষের কথা বলার শব্দ হয় ৪০ ডেসিবেলে। মানুষ ২০ ডেসিবেলের নিচের আওয়াজ শুনতে পায় না। একটি বুলডোজারের শব্দ ৮৫ ডেসিবেল। এক দিন কেউ বুলডোজারের সাথে থাকলে বা এর আওয়াজ শুনলে কানের স্থায়ী ক্ষতি হয়ে যায়। একদিন বলতে এক কর্মদিনকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ ৮ ঘণ্টা বুলডোজারের সাথে থাকলে এই ক্ষতি হয়। আমাদের দেশে অনেক এলাকায় এমন রয়েছে, সেখানে প্রতিনিয়ত বুলডোজারের আওয়াজই উৎপন্ন হয়। সেই বিবেচনায় বুলডোজারের মাত্রায় শব্দদূষণ দিয়ে আমরা নিজেদের ক্ষতি করে চলেছি। বজ্রপাতের শব্দ ১২০ ডেসিবেল। গান শোনার ক্ষেত্রে ১০০ ডেসিবেল শব্দ হয়। গানের শব্দ আমাদের অনেক শোনা হয়। ১০০ ডেসিবেল মাত্রায় যদি দিনে ১৫ মিনিট করে গান শোনা হয়, তাহলে শ্রুতিশক্তির স্থায়ী ক্ষতি হতে থাকে। ঢাকায় যে হারে ডিজিটাল সাউন্ডে গান শোনা হয়, তার ক্ষতির মাত্রা এর চেয়ে অনেক বেশি। অনিচ্ছা সত্ত্বেও আমাদের অনেককে এই হাইভোল্টেজ ক্ষতিকর আওয়াজ নিতে হচ্ছে। আমাদের দেশে কত মানুষ শ্রুতিসমস্যায় রয়েছেন সম্ভবত এর প্রকৃত জরিপ নেই।

শব্দদূষণকে আজকাল বলা হয় শব্দ-সন্ত্রাস। কারণ এটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের চেয়ে ভয়াবহ। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে, কোনো এলাকায় ৬০ ডেসিবেল মাত্রার বেশি শব্দ হলে সেই এলাকা শব্দদূষণপ্রবণ এলাকার আওতায় আসবে। সংস্থার হিসাব মতেই ৬০ ডেসিবেল শব্দ মানুষের সাময়িক শ্রবণশক্তি নষ্ট করতে পারে। ১০০ ডেসিবেল শব্দ চিরতরে মানুষের শ্রবণশক্তি নষ্ট করে দিতে পারে। সম্প্রতি ‘পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বিভিন্ন কারণে উচ্চশব্দের উৎসগুলো যেমন বাড়ছে, তেমনি শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় সাম্প্রতিক শব্দদূষণ মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে। স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) ২০২০ সালে করা এক সমীক্ষা বলছে, ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সচিবালয়ের চারপাশের এলাকায় জরিপ চালানো হয়। স্বয়ংক্রিয় সাউন্ড লেভেল মিটারের সাহায্যে ১২টি স্থানে দিনব্যাপী ৩০০ বার উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা অনুযায়ী, সচিবালয় এলাকায় দিনের বেলায় শব্দের মাত্রা ৫০ ডেসিবেল থাকার কথা ছিল। কিন্তু জরিপে দেখা গেছে, দিনের বেলায় শব্দের মাত্রা কখনোই ৫০ ডেসিবেলের নিচে ছিল না। গবেষণাটিতে দেখা গেছে, ১২টি স্থানের প্রতিটিতেই দিনের বেলায় শতভাগ সময় নীরব এলাকার জন্য প্রযোজ্য মানমাত্রার (৫০ ডেসিবেল) চেয়ে বেশি মাত্রায় শব্দ হয়েছে। ১২টি স্থানের মধ্যে সচিবালয়ের পশ্চিমে মসজিদের পাশের এলাকা বাদে সব জায়গায় ৭০ ভাগ এর বেশি সময় ধরে ৭০ ডেসিবেল (তীব্রতর) এর বেশি শব্দের মাত্রা ছিল। সামগ্রিকভাবে ১২টি স্থানে সম্মিলিতভাবে ৯১ দশমিক ৯৯ ভাগ সময় ৭০ ডেসিবেল (তীব্রতর) এর বেশি মাত্রার শব্দ হয়েছে। সর্বোচ্চ সময় ধরে তিনটি স্থানে শব্দের মাত্রা সবচেয়ে বেশি ছিল। সেগুলো হলো- পল্টন বাস স্ট্যান্ড (১০০ ভাগ সময়), জিরো পয়েন্ট (৯৯ দশমিক ৪ ভাগ সময়) এবং কদম ফোয়ারা (৯৯ দশমিক ২ ভাগ সময়)। এই তিনটি জায়গায় নিয়মিতভাবে শব্দের মাত্রা ৭০ ডেসিবেলের বেশি ছিল। ‘আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস-২০২১’ উদযাপন উপলক্ষে পরিবেশ অধিদফতর আয়োজিত ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প’ শীর্ষক ভার্চুয়াল কর্মশালা হয় ২৮ এপ্রিল, ২০২১ সালে। সেখানে বলা হয়, রাজধানী ঢাকায় শব্দদূষণ সহনীয় মাত্রার চেয়ে তিনগুণ বেশি। ফলে প্রায় অর্ধ কোটি মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। দেশের ৮টি বিভাগে শব্দদূষণের ওপরে জরিপ করেছিল পরিবেশ অধিদফতর। তাতে  দেখা যায়, প্রায় সব এলাকায় সহনীয় মাত্রার চেয়ে দুই থেকে তিনগুন বেশি শব্দ।

কেউ কেউ হয়তো বলবেন, দেশে কি আইন কানুন নেই? অথচ বাংলাদেশে শব্দদূষণকে মোকাবেলায় কিছু আইন, নিয়ম ও বিধান কিন্তু রয়েছে। যেমন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫, পরিবেশ সংরক্ষণ বিধান ১৯৯৭, শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ ইত্যাদি। এই আইনগুলো শব্দ দূষণের সমস্যাকে সমাধান করতে বিস্তারিত দিক-নির্দেশনা দেয়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এই আইনকানুনগুলোর কদাচিৎ প্রয়োগ দেখা যায়। এই আইনগুলোর বাস্তবায়নে কোনো কঠোর উদ্যোগ দেখা যায় না। সম্প্রতি হাইকোর্ট হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার বন্ধে সরকারকে দিক-নির্দেশনা প্রদান করেছে, কিন্তু সে ব্যাপারে তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। অথচ হর্নের অযথা ব্যবহার বন্ধে আইনের প্রয়োগ ও সচেতনতা তৈরির বিকল্প নেই। ২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর ‘অকারণে হর্ন: স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির ক্ষতির কারণ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকেরা বলেছিলেন, আসলে শুধু আইন প্রয়োগ করে হর্ন বাজানো বন্ধে সাফল্য আসবে না। অযথা হর্ন বাজানো বন্ধে সঠিক পরিকল্পনা করে বাস্তবায়নে নামতে হবে। নাগরিকদের মানসিকতাতেও বদল আনতে হবে।

ঢাকা শহরে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রায়শই দেখা যায় দিন নেই রাত নেই পাইলিং-এর কাজ, ইট ভাঙার যন্ত্র, সিমেন্ট মিক্সারের যথেচ্ছ ব্যাবহার হচ্ছে। সময় সম্পর্কে কোন বালাই নেই। বাংলাদেশে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের অধীনে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা রয়েছে। তাতে বলা আছে সন্ধ্যা সাতটা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত নির্মাণকাজের এসব যন্ত্র চালানো যাবে না। আবাসিক এলাকার শেষ সীমানা থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যে নির্মাণ কাজের জন্য ইট বা পাথর ভাঙার মেশিন ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু ঢাকা শহরে আবাসিক এলাকার শেষ সীমানা বলে কিছু আসলে নেই। অন্তত বড় শহরগুলোতে অভিজ্ঞতা হল মধ্যরাত এমনকি সারা রাত জুড়ে নির্মাণকাজ চলে। কারো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে কিনা, শিশুদের পড়াশুনার ক্ষতি, অসুস্থ ও বয়স্ক ব্যক্তিদের কষ্ট কোন কিছুই অসময়ে নির্মাণ কাজ থামাতে পারে না।

বাংলাদেশের শব্দদূষণ নীতিমালা-২০০৬ অনুযায়ী আবাসিক এলাকায় সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ শব্দসীমা ৫৫ ডেসিবেল এবং রাত ৯টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত শব্দের সহনমাত্রা ৪৫ ডেসিবেল। নীরব এলাকার জন্য এই শব্দসীমা যথাক্রমে সর্বোচ্চ ৫০ ও ৪০ ডেসিবেল, মিশ্র এলাকায় ৬০ ও ৫০ ডেসিবেল, বাণিজ্যিক এলাকায় ৭০ ও ৬০ ডেসিবেল এবং শিল্প এলাকার জন্য সর্বোচ্চ শব্দসীমা ৭৫ ও ৭০ ডেসিবেল হওয়া উচিত।

গবেষণায় দেখা যায়, দেশের ১ কোটিরও বেশি লোক শব্দদূষণজনিত রোগে ভুগছে। শব্দদূষণের প্রতি হাজারে একজন বধির হয়ে জন্মায় এবং আরো একজন বধির হয়ে যায়। মাত্রাতিরিক্ত শব্দদূষণ একটি শিশুকে বেড়ে ওঠার আগেই বধির হওয়ার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাকে করে তুলছে অমনোযোগী ও বিকারগ্রস্ত। শব্দদূষণ হচ্ছে নীরব ঘাতক। আর দূষণ সৃষ্টিকারীরা অনেক সময় প্রত্যক্ষ ঘাতক। এই উভয় ঘাতকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার সময় এসেছে। শব্দদূষণ রোধে সবার আগে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আর যে কোনো মূল্যে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে আগামী দিনে বধির, বিকৃত, বিকারগ্রস্ত একটি জাতির ভার দেশকে বহন করতে হবে।

কিছু সময় রয়েছে, যখন মানুষ কোলাহলমুক্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চায়। রাজনৈতিক এখনকার কর্মসূচি যেন সেটা মানতে চায় না। মানুষকে কষ্ট দিয়ে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি সফল করা যায় না। এ ব্যাপারটি রাজনৈতিক নেতারা ভেবে দেখতে পারেন। এ দেশে শব্দদূষণ বাড়ছে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে। সংশ্লিষ্ট গবেষকরা বলেছেন, শব্দ নিয়ন্ত্রণের জন্য মানুষকে শুধু সচেতন করলে হবে না, মফম্বলসহ গ্রামীণ জনপদের মানুষকেও এর ভয়াবহতা সম্পর্কে জানিয়ে সচেতন করতে হবে। আইন করে অপরাধ দমন করা যত সহজ, তার চেয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করে অপরাধপ্রবণতা কমিয়ে আনা আরো বেশি সহজ। সুতরাং, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির কাজটি আন্তরিকতার সঙ্গে চালিয়ে যেতে হবে আমাদের সবাইকে।

দৈনিক সমকাল

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২

শব্দ-সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষ কিছু ভাবছেন?

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Scroll to top