মাধ্যমিক শিক্ষকদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ আর কত?

হাসান হামিদ

চীনা প্রবাদে আছে, If you are planning for a year, sow rice; if you are planning for a decade, plant trees; if you are planning for a lifetime, educate people. শিক্ষক শব্দটার মধ্যে সত্যিই অমিত শক্তি ও মর্যাদা লুকিয়ে আছে। কিছুদিন আগে খোন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াসের লেখা ‘ভাসানী যখন ইউরোপে’ নামে একটি বই পড়েছিলাম। সেটির প্রেক্ষাপট ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট থাকায়, আমি এ নিয়ে আরও কিছু লেখা পড়ি। যুক্তফ্রন্টের ২১ দফার ৯ নম্বর দফাটিতে বলা হয়েছিল, শিক্ষকদের সম্মানজনক বেতন ও সুবিধা দেয়া হবে। অথচ সেই দাবি কখনোই আমলে নেয়া হয়নি, এমনকি ২০২০ সালে এসেও। অথচ চোখ বন্ধ করে আপনি যদি ভাবেন, কোন পেশার মানুষগুলো একটি দেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ? হেনরিএডামস-এর কথাটি আপনার মনে আসবে। তিনি বলেছেন, একজন শিক্ষক সামগ্রিকভাবে প্রভাব ফেলেন, কেউ বলতে পারে না তার প্রভাব কোথায় গিয়ে শেষ হয়। বাট্রাণ্ড রাসেল আরো এক পা এগিয়ে এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, মানুষের সুখী হওয়ার জন্যে সবচেয়ে বেশি দরকার বুদ্ধির এবং শিক্ষার মাধ্যমে এর বৃদ্ধি ঘটানো সম্ভব। আর সেই কাজটি করেন একজন শিক্ষক।

আমি বাজি ধরে বলতে পারি; একজন শিক্ষক যেভাবে শেখাবেন, যতটুকু স্বপ্ন রচনায় উৎসাহিত করতে পারবেন আমাদের প্রজন্মকে, ততোটা কেউ পারবেন না; আর সেকারণেই তারা মানুষ গড়ার কারিগর। আমাদের দেশ ডিজিটাল হয়। পাল্টে যায় অর্থনীতির সূচক। সেই সাথে দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে আমাদের চাওয়া-পাওয়া। শিক্ষার আলো সময়ের প্রয়োজনেই প্রতিটি মানুষের দ্বারে দ্বারে। শুধু পাল্টায় না শিক্ষকদের জীবনমান। বেতনস্কেলে তাদের জন্য থাকে না সম্মানিত কোনো স্কেল। শিক্ষক নীতিমান হবেন, আদর্শকে ধারণ করবেন; জ্ঞানে, প্রজ্ঞায় অন্যদের চেয়ে একধাপ এগিয়ে থাকবেন, সেইসঙ্গে দারিদ্র্যের দায়ও বহন করবেন, এটাই যেনো এদেশের সবার ধারণা। ফলে স্বাধীনতার এতগুলো বছর পার হওয়ার পর যখন বিশাল জনসংখ্যা অধ্যুষিত এ দেশে পাল্টে গেছে অনেক চিত্র, তখন সনাতন চিত্র ধারণ করে ঠায় দাঁড়িয়ে শিক্ষকতা পেশা। কিন্তু কেনো? সেই প্রশ্নের উত্তর নেই।

শিক্ষার যতোগুলো স্তর, প্রাথমিকের পরই মাধ্যমিকের গুরুত্ব ও অবস্থান। কেননা মাধ্যমিক শিক্ষা হলো যে কোন শিক্ষার উচ্চতর ধারায় প্রবেশের পূর্ববর্তী শিক্ষা স্তর। একে কোন কোন ক্ষেত্রে প্রন্তিক শিক্ষা হিসেবেও গন্য করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষার পরবর্তী এবং উচ্চশিক্ষার পূর্ববর্তী স্তরের শিক্ষাকেই মাধ্যমিক শিক্ষা বা সেকেন্ডারি এডুকেশন বলা হয়। অধ্যাপক ড.শেখ আমজাদ হোসেন মাধ্যমিক শিক্ষার সংজ্ঞায় বলেছেন, আমাদের প্রাথমিক শিক্ষার পরবর্তী এবং উউচ্চশিক্ষার পূর্ববর্তী, মধ্যবর্তী শিক্ষাস্তরই হলো মাধ্যমিক শিক্ষা।

আমাদের দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু এই স্তরের শিক্ষার গুণগত মানের যতটুকু উন্নয়ন হওয়ার কথা ছিল, তার তেমন কিছু কি হয়েছে? আমাদের দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দিয়ে শিক্ষার মান নির্ণয় করা হয়, জিপিএ ফাইভ দিয়ে বলা হয় আমরা শিক্ষায় কতটা এগিয়েছি। অথচ এগুলো হাস্যকর এবং মোটেই ঠিক মাপকাঠি নয়। আমাদের এই ছোট্ট দেশে জনসংখ্যা অনেক। ফলে সব স্তরেই শিক্ষার্থী প্রচুর। আর সেই চাপ সামাল দিতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা এখন অনেক, কলেজের সংখ্যাও তাই। এই হাজার হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, লাখ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী নিয়ন্ত্রিত হয় একমাত্র একটি অধিদপ্তর থেকে। সেটি হলো মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বা মাউশি। এই ব্যাপারটি খুব ভয়াবহ। কারণ একটি প্রতিষ্ঠান স্কুল ও উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের সব নজরদারি করতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছুই নজর এড়িয়ে যায়। এর ফলে ভুক্তভোগী হন শিক্ষকরা। উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিকের আলাদা প্রতিষ্ঠান করার সময় হয়ে গেছে। শিক্ষার মান নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলেন, টক শোতে টেবিল ছাপড়ে বেড়ান, তারাও এ বিষয় এড়িয়ে যান।

কেউ কেউ হয়তো আমার সাথে দ্বিমত পোষণ করবেন। বলবেন আলাদা অধিদপ্তরর দরকার নেই। কিন্তু একসময় প্রাথমিক শিক্ষাও কিন্তু মাউশির অধীনেই ছিল। প্রাথমিক অধিদপ্তর আলাদা হওয়ার পর প্রাথমিক শিক্ষার গতিশীলতা এসেছে। আমরা লক্ষ করেছি, প্রাথমিক শিক্ষায় বাংলাদেশে যুগান্তকারী পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে। কিন্তু কষ্ট লাগে যখন দেখি, শিক্ষার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমিক স্তরে কোনো জবাবদিহিতা নেই বললেই চলে। মাউশির কর্মকর্তা ৮০ শতাংশ কলেজের জনবল হওয়ায় মাধ্যমিকের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ চলছে অনেক দিন ধরে। তাছাড়া মাধ্যমিক শিক্ষার সমস্যা সম্পর্কে আসলে তাদের বেশিরভাগেরই বাস্তব কোনো অভিজ্ঞতার নেই। এখানে এখন মহাপরিচালক যা করবেন তা-ই আইন, সরকারও চাইছে প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণ। অথচ মাধ্যমিক শিক্ষাকে গতিশীল করতে এবং এর মান উন্নয়নের স্বার্থে মাধ্যমিকের জন্য আলাদা অধিদপ্তরের কোনো বিকল্প নেই। আমি ব্যক্তিগত ভাবে একাধিক শিক্ষকের সাথে কথা বলেছি। তাদের সবার একটাই দাবি, মাধ্যমিকের জন্য দ্রুত আলাদা অধিদপ্তর করা হোক।

মাউশি বর্তমানে কীভাবে চলছে? খবর নিয়ে জেনেছি, নয়টি আঞ্চলিক উপ-পরিচালকদের মাধ্যমে বর্তমানে কাজ চালাচ্ছে মাউশি। নয়টি আঞ্চলিক দপ্তরের কথা শুনতে বিকেন্দ্রিকরণের মতো মনে হলেও এটি আসলে যথার্থ অর্থে তা নয়। কারণ এই আঞ্চলিক দপ্তরের উপ-পরিচালকগণ মাউশিতে শুধু রুটিন মাফিক চিঠি চালাচালি করেন। এর বাইরে আর কোন ভূমিকা বাস্তবে মাউশি রাখতে পারছে না। এমনকি স্থানীয় বদলিগুলো তাদের করার কথা। অথচ ভুক্তভোগী শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, স্থানীয় বদলির সবই কেন্দ্র থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়। আর মোটা দাগে প্রশ্নটা এখানেই। যদি সবকিছুই কেন্দ্র থেকে নিয়ন্ত্রিত হয় তাহলে আঞ্চলিক উপ-পরিচালকদের দরকার কি?

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করার পর এই দেশে কতজনের প্রমোশন হয়? মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেওয়া তরুণটির উচ্চপদে আসীন হবার সুযোগ কি আছে আমাদের দেশে? অথচ অন্য দপ্তরের দিকে তাকান। দেখবেন ভিন্ন চিত্র। অথচ শিক্ষকদের যদি এই বিভাগের উচ্চ পদে যাবার পথ থাকতো তাহলে তার দ্বারা শিক্ষা বিভাগ যে সার্ভিস পেত, তা এখন কি পাচ্ছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ? এই বিষয়টি নিয়ে আমাদের দেশের শিক্ষা বিভাগের উচ্চতর স্তরে চিন্তা করে দেখার সময় এসেছে।  আমাদের দেশের মাদ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে হাজার হাজার শিক্ষক রয়েছেন, যারা অনেক প্রতিভাবান ও মেধাবী। শিক্ষা প্রশাসকের চেয়ারগুলোতে দক্ষতার ভিত্তিতে শিক্ষকদেরই বসতে পারার আইন ও নিয়ম রাখা যায় কিনা, ভাবতে হবে।  শিক্ষা বিভাগে এবং শিক্ষকতা পেশায় গতি আনতে হলে এদিকে নজর দিতে হবে যত দ্রুত সম্ভব।

দেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭৫ সালের ২ মে মাধ্যমিক শিক্ষকদের পদটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড মর্যাদায় উন্নীত করেছিলেন। কিন্ত জাতির জনকের শাহাদাত বরণের পর অজানা কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি। দীর্ঘ সময় পর আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০১২ সালের ১৫ মে পদটিকে বেতনস্কেল অপরিবর্তিত রেখে দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদ মর্যাদায় উন্নীত করেন। দ্বিতীয় শ্রেণির পদ মর্যাদা পাওয়ায় যোগদান থেকে চাকরিকাল গণনা করে শিক্ষকরা দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদায় সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেলের জন্য আবেদন করেন। আবেদনকারী শিক্ষকদের সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেলের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মোট তিন বার DPC সভা হয়। সভাগুলো হয় ২০১৬ সালের মে, জুলাই এবং আগস্ট মাসে।  কিন্তু কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতার কারনে সিদ্ধান্ত ছাড়াই এসব সভা শেষ হয়। ফলে দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত চাকরী করেও কোনো টাইমস্কেল বা সিলেকন গ্রেড পাননি অধিকাংশ শিক্ষক। উপায় না দেখে বঞ্চিত শিক্ষকগণ বকেয়া সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পাওয়ার জন্য ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় ও জটিলতা নিরসনে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্টে রীট পিটিশন দাখিল করেন (রীট নং ৩৫৪৫/২০১৮, ৩৮৪৮/২০১৮ ও ৩৯২৫/২০১৮)। গত বছর ২ মে উক্ত রীট পিটিশনগুলোর রায় শিক্ষকদের পক্ষে প্রদান করা হয়। এরপর ২০১৯ সালের ২৪ আগস্ট  উক্ত রীট পিটিশিনগুলোর রায়ের সার্টিফাইড কপি মাউশি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা  দেওয়া হয়। রায়ের কপি হাতে পৌছানোর তিন মাসের মধ্যে রায় বাস্তবায়নে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা ছিল। অথচ আজ পর্যন্ত এই রায় বাস্তবায়নের কোন ব্যবস্থা দৃশ্যমান হয়নি।

এবার দেখা যাক মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষকদের চাকরির নিয়োগবিধি কী বলছে। এ বিধির শর্ত অনুয়ায়ী, জাতীয় বেতনস্কেল-২০০৯ এর ৭(২) ধারা অনুযায়ী সহকারী শিক্ষক পদে ৮ বছর চাকরি পূর্তিতে ‘প্রথম টাইমস্কেল’ হিসেবে ৮ম গ্রেড এবং ১২ বছর পূর্তিতে ‘দ্বিতীয় টাইমস্কেল’ হিসেবে ৭ম গ্রেড প্রদানের বিধান আছে। তাছাড়া জাতীয় বেতনস্কেলে-২০০৯ এর ৭(৯)ধারা অনুযায়ী সহকারী শিক্ষক পদে ৪ বছর পূর্তিতে ৯ম গ্রেড প্রদানের বিধান আছে। বিধান থাকলেও সেসব তাদের কপালে জুটছে না।

এবার ব্যানবেইজের ২০১৭ সালে করা একটি পরিসংখ্যানের দিকে নজর দেব। সেখানে বলা হয়েছে, ১৫,৭৭২টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩৪০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২৫৫৩টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১,২৩৪টি স্কুল এন্ড কলেজসহ সর্বমোট ১৯,৮৪৮টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শন, পরীক্ষণ ও মূল্যায়নের দায়িত্ব পালন করে স্কুল এন্ড ইন্সপেকশন ব্রাঞ্চ। এর সাথে রয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ ২,৫৫৭টি, স্নাতক কলেজ ১,১২৬টি, স্নাতক(সম্মান) কলেজ ৫৬৮টি ও স্নাতকোত্তর কলেজ ১৬৮টি সহ মোট ৪,৪১৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে সর্বমোট ২৪,২৬৭টি প্রতিষ্ঠান নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর আসলে সমস্যায় জর্জরিত হয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। অথচ ইতোপূর্বে ১,২৬৪টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা ‘কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর’ ও ৯,৬৫৬টি মাদ্রাসার জন্য অলাদা ‘মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর’ গঠিত হলেও জাতীয় শিক্ষানীতির প্রস্তবাবনা অনুযায়ী আলাদা ‘মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠা অজানা কারণে আটকে আছে।

বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃস্থানীয় কয়েকজন শিক্ষকের সাথে আমার আলাপ হয়েছে। তারা মনে করেন, শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য স্বতন্ত্র অধিদপ্তর না থাকাই এই সমস্যাগুলোর মূল কারণ। তারা আসলে ন্যায্য অভিভাকত্বহীনতায় ভুগছেন। তাদের আক্ষেপ, আলাদা মাদ্রাসা ও কারিগরি অধিদপ্তর ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।  ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০’ অনুযায়ী শিক্ষানীতির উল্লেখযোগ্য একটি দিক হলো, শিক্ষা প্রশাসনে বর্তমানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে দুইটি পৃথক অধিদপ্তর যথাক্রমে ‘মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর’ ও ‘উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা অধিদপ্তর’ গঠন করা হবে (জাতীয় শিক্ষানীতি পৃষ্ঠা-৬৪)। কিন্ত শিক্ষানীতি প্রণয়নের দশ বছর পরেও স্বতন্ত্র মাধ্যমিক অধিদপ্তর বাস্তবায়নের কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই। শেষকথা হলো, বিপুল সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তদারকিসহ অন্যান্য কার্যক্রম চালাতে গিয়ে বর্তমানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর হিমশিম খাচ্ছে। আর তাই মাধ্যমিকের জন্য আলাদা আধিদপ্তর সময়ের দাবি।

প্রকাশিত পত্রিকা- দৈনিক মানবকণ্ঠ, ২৪ জুন, ২০২০

মাধ্যমিক শিক্ষকদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ আর কত?
Scroll to top