পিয়াস মজিদের ‘রিমঝিম মাংসবিতান’

হাসান হামিদ

গল্প করতে এবং পড়তে কার না ভালো লাগে! আসলে আমরা সম্ভবত নিজেদের জন্যই নিজেরা গল্প বলি। এই ব্যাপারটি আরেকটু ব্যাখ্যা করেছেন আমেরিকান লেখক ও সাংবাদিক Joan Didion; তিনি বলেছেন, ‘‘We tell ourselves stories in order to live’’ আর বাংলাদেশে আমরা যারা গল্প পড়ি, তাদের অনেকেই ছোটবেলায় বড়দের কাছে গল্প শুনতাম। এভাবে গল্প শুনতে শুনতেই আমরা যেন বড় হয়েছি। তাই গল্প বলার-শোনার বা গল্প লেখার-পড়ার বিষয়টি আমাদের প্রায় মজ্জাগত। সে জন্য বোধহয়, কবিতা পড়লে আমরা তার মধ্যেও গল্প খুঁজি! যেমন বলতে পারি, কবি পিয়াস মজিদের অনেক কবিতায় আমি গল্প পেয়ে যাই; সেই গল্প আমাকে টেনে নিয়ে যায় কোনো এক গলির ভেতর, তারপর আমি সেখানে বাস করতে থাকি। আমার সেই ঘোর ততক্ষণ পর্যন্ত কাটে না, যতক্ষণ না অন্য কোনো গল্পের জাহাজে আমি উঠি!

এ সময়ের আলোচিত কবি ও প্রাবন্ধিক পিয়াস মজিদ। তাঁর কবিতার সাথে আমার পরিচয় অনেক আগেই। আমরা দেখেছি, তাঁর কবিতায় প্রকট হয়ে ওঠে ব্যক্তি এবং ব্যক্তির নিমগ্নতা। প্রকৃতি বা ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে এলেও এই ব্যক্তি তার মগ্নতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয় না। অনেকেরই এ কথা জানা, পিয়াস মজিদের প্রবন্ধের বিষয় ও আঙ্গিক বৈচিত্র্যময়। আর লেখায় যে ভাষা তিনি ব্যবহার করেন, তাতে সৃষ্টি হয় এক নেপথ্য সংগীতের আবহ। আর একটু স্বতন্ত্র ও সহজাত লেখনীর কারণে তিনি তৈরি করে নিয়েছেন তাঁর নিজস্ব পাঠক শ্রেণি। বলা যায়, এই সময়ে বাংলা কবিতা ও গদ্য সাহিত্যে নিজের একটা জায়গা তিনি করে নিয়েছেন। কয়েক দিন আগে বইমেলা থেকে পিয়াস মজিদের দুটি বই আমি সংগ্রহ করেছি। একটি ‘মির্জা গালিব স্ট্রিট’, প্রকাশিত হয়েছে ঐতিহ্য থেকে; অন্যটি ‘রিমঝিম মাংসবিতান’, প্রকাশ করেছে অন্যপ্রকাশ। আমার আজকের লেখাটি ‘রিমঝিম মাংসবিতান’ নিয়ে। এটি একটি গল্পগ্রন্থ। এতে ছোট ছোট আটটি গল্প রয়েছে। এর মধ্যে দুটি গল্প আমি আগেই পড়েছি সাহিত্য ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হওয়ার কল্যাণে।

কথা হচ্ছিল গল্প নিয়ে! ছোটবেলায় শোনা গল্পগুলোর অনেক গল্প আমরা পরে সাহিত্যপাঠে এসে পেয়েছি। আর কথাসাহিত্যের ছোটগল্প নামের বিশেষ ধারাটির আবির্ভাব উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে। গল্প নিয়ে বলার আগে জেনে নিই ছোটগল্প জিনিসটা আসলে কী! প্রথম চৌধুরী বলেছেন, ‘‘ছোটগল্পকে প্রথমত ছোট, দ্বিতীয়ত গল্প হতে হবে। ছোটগল্পের হীরক কাঠিন‍্যের মধ্যে থাকবে জীবনের কোন বিশিষ্ট দিক ও খণ্ডাংশ’’। এ সম্পর্কে এডগার এলেন পো বলেছেন, ‘‘যে গল্প আধ থেকে এক বা দু’ঘণ্টার মধ্যে এক বৈঠকে পড়ে শেষ করা যায় এবং যা একটা নির্দিষ্ট অবস্থা অভিজ্ঞতা বা ঘটনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে তাই ছোটগল্প।’’ তবে আকৃতিতে ছোট হলেই কেবল ছোটগল্প হয় না। আকৃতিগত ছাড়াও প্রকৃতিগত ও মর্মগত অনেক ভিন্নতাও এর রয়েছে। ছোটগল্পের প্রধান বৈশিষ্ট্য জীবনের খণ্ড চিত্রের উন্মোচন।

বোঝা গেল, ছোটগল্পের অন্যতম ব্যাপারটি হল আকারে ছোট হওয়া। আর লেখক পিয়াস মজিদ তাঁর গল্পের বিনির্মাণে যথাসম্ভব কম কথায় কাজ সেরেছেন। গল্প লেখার গতানুগতিক প্যাটার্ন থেকে একটু আলাদা এর আদল, প্রকরণও অনেকটাই অন্যদের চেয়ে ভিন্ন। তাঁর লেখা গল্পের দেয়ালে খুব বেশি শব্দের ইট গাঁথা হয় না। ঠিক ততটুকু গাঁথা হয়, যেটুকু দরকার। এ থেকে বোঝা যায়, গল্পকার পিয়াস মজিদের পরীমিতিবোধ অসাধারণ। তাঁর লেখা গল্প সংক্ষিপ্ত, বেশিরভাগ গল্পে আমরা দেখি একটিমাত্র এপিসোড। এই সংক্ষিপ্ততার জন‍্যই পাঠক বিরক্ত হন না; বরং মন্ত্রমুগ্ধ হন। তাঁর রচিত গল্পের ভাষা তাই প্রায় সময়ই বিবরণধর্মী নয়, সংকেতধর্মী। আর পড়তে পড়তে আমার কাছে মনে হয়েছে, পিয়াস মজিদের লেখা এলোমেলো ডালপালার পুনরাবৃত্তি নয়। তাঁর গল্প যেন শিল্পরূপের নিখুঁত ঐক‍্য। গল্প পড়েই বোঝা যায়, লেখার আগে তাঁর সুস্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল। মোটকথা গল্পকার পিয়াস মজিদ তাঁর গল্পে সমস্ত অবান্তর অংশ বর্জন করেন। আর এভাবেই সার্থক হয়ে ওঠে জগৎ জীবন সম্পর্কে তাঁর ‘প্রতীতির সমগ্রতা’ বা Unity of impression। ‘রিমঝিম মাংসবিতান’ গল্পের শুরুটা হয়েছে এভাবে, ‘‘রিমা-তরিক সদ্যবিবাহিত দম্পতি। নানা বিষয়ে তাদের অদ্ভুত মিল। এই মিলই হয়তো তাদের সম্পর্কটাকে সংসারে গড়িয়েছে। তবে সংসারের ব্যঞ্জনে একটু লবণ যেমন প্রয়োজন, তেমনি অমিলও দরকার পড়ে হয়তো কিছু। তাই আমরা দেখি দুজনের মধ্যে কিছু ব্যবধান মেরুসমুদ্রের মতো জাজ্বল্য। এই যেমন মাংস প্রসঙ্গে স্বামী-স্ত্রী দুজনের অবস্থান। মাংস যে তারা খুব ভালোবাসে তা নয়, তবে সপ্তাহে দু-একদিন তো খাওয়া পড়েই মাংস’’।

একজন সার্থক গল্পকার গল্পে তাঁর সময়ের কথা বলেন। এটি কবিতা ও সাহিত্যের অন্যান্য মাধ্যমের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। গল্পে কবিতায় উঠে আসবে সমসাময়িক জীবনের চিত্র। গল্প পাঠে মনে হবে এ যেন সেই সময়েরই প্রতিচ্ছবি। ‘রিমঝিম মাংসবিতান’ থেকে আবার কয়েক লাইন,

‘‘তরিক মাংস-সংক্রান্ত কোনো ঝামেলায় যেতে চায় না। মীনাবাজার কিংবা স্বপ্ন থেকে রেডি মাংস প্যাকেট করে এনে ফ্রিজে রেখে দেওয়ায় স্বস্তি তার; কিন্তু রিমার তাতে ঘোর আপত্তি। মাংসে যদি রক্ত না থাকে তবে তা আর মাংস কিসে! দুজনের এই নিয়ে খিটিমিটি প্রচণ্ড। এক শুক্রবার সকালে শান্তশিষ্ট রিমা তো মাংস ইস্যুতে ধারণ করল তুমুল অগ্নিমূর্তি। বেসরকারি চাকুরে দুজনেরই সাপ্তাহিক বন্ধ শুক্রবার। এদিনটা একটু আয়েশ করে বাজার করে তরিক। আর রিমা কি-না তার আনা মাংসের প্যাকেটটা ছুড়ে ফেলে দিলো রাগে’’।

গল্পে পাত্র-পাত্রী যে জীবন যাপন করছে, সেটি যে সময়ের; ঠিক সেই সময়টি এখানে ধরা দিয়েছে। গল্পের পাত্র-পাত্রীর সংলাপ, ভাষা, কার্যকলাপ, মানসিক দ্বন্দ্ব সব একেবারে নিখুঁত। আবারও ‘রিমঝিম মাংস বিতান’ গল্প থেকে পড়ব, ‘‘সকালে ঘুম ভেঙে কবিতাটায় চোখ বুলোতে গিয়ে দেখে মাঝরাতেও মাংস হানা দিয়ে গেছে অক্ষরের আকারে। না হয় কেন লিখবে সে এমন মাংসভারাতুর কবিতা –

যেদিকে কসাইখানা,

সেদিকেই ফুলের বাজার।

রক্ত আর পাপড়ির পাহাড়।

প্রতিদিন ওদিকে যাই।

ব্যাগ ভরে কিনে আনি

মাংস ও গোলাপ।

কবিতাটি মোবাইলের ড্রাফট থেকে ল্যাপটপে তুলতে গিয়ে রিমাকে পড়ে শোনাতে ইচ্ছে করছিল; কিন্তু সে তো তখনো ঘুমে নিঃসাড়… অফিসের জন্য রেডি হয়ে চা খেতে খেতে টিভিতে চোখ রাখার অভ্যাস তরিকের। ওই একটু সময়ই টিভি দেখার ইচ্ছা হয় তার। বিদেশি এক চ্যানেলে দেখাচ্ছে একটা ডকুমেন্টারি। কোনো এক জায়গায় মানুষ মানুষকেই বন্দি করে পর্যায়ক্রমে হত্যা করে খুবলে খায় মানুষেরই মাংস। আতঙ্কে সকালের চা-টা শেষ করতে পারে না তরিক। রিমার চোখে পড়ে ব্যাপারটা। চ্যানেলটা পালটে বলে, ‘এতে অবাক হওয়ার কী আছে! এদেরকে সভ্যতাবিবর্জিত ভাবছ আর যারা দেশে দেশে যুদ্ধ বাধিয়ে মানুষ মারছে তারাও কি কম মাংসখেকো? মানুষকে মানুষ না, বরং মাংসের পুতুল ভাবলেই নির্বিকার যুদ্ধ বাধিয়ে মানুষ মারা যায়।’’

কিংবা ‘মায়া-মফস্বলের ছেলেমেয়ে’ গল্পে আমরা পড়ি, ‘‘বলছি সেই মায়া-মফস্বলের কথা—যা অনতিদূরের, আবার সুদূরের। দেশের আর দশটা মফস্বল টাউনের মতোই সে জায়গাটা, তবে কিছু রোদ যেমন নেহায়েত রোদ আর কিছু রোদ হেঁটে গেলে যেমন তার ছায়া ছড়িয়ে যায়, সে-ই মফস্বলটা ছিল তা-ই৷ সেখানের পথঘাটে শত মালিন্য, ভাঙাচোরা, তবু দিগন্তের বাগিচাজুড়ে ঝিম ধরা তারার গন্ধ আর চারপাশ গাছগাছালির আলোয় সবুজ৷ এখন একেবারে বদলে যাওয়া মহানগরটা দেখে বোঝার উপায়ই নেই যে—একদা এখানে ভর করেছিল অনন্ত! আজকাল সেখানে কত দ্বন্দ্ব-ফ্যাসাদ আর মানুষের মনের ভেতরও যেন ঢুকে গেছে মর্গ। আর তখন ছিমছাম, চুপচাপ, টুংটাং রিকশার শব্দশীল শহরটা যেন ছিল এক অমর অরণ্য। আমরা বলতে বসেছি সে-ই বিগত শহরেরই ছেলেমেয়ের গল্প। মায়া-মফস্বলের ছেলেমেয়ে’’।

‘ভাঙা ভাঙা প্রেমের গল্পগাথা’-তে আমরা সময়ের প্রতিচ্ছবি পাই, ‘‘পার্টি আর কি? বাবুর বাসায় ব্যাচেলর-হইচই। আজকাল তো পার্টিতে সব্বাই বোতল টেস্ট করে আর আমরা চাইলাম একটু উরাধুরা কিছু; বন্ধুকে জানা না-জানাটা টেস্ট করা। বার্থডে বয় ইমনকে নিয়ে বলতে শুরু করলাম একে একে পিনাক, অনিক, মাশফিক, শাহরুখ, বাবু আর আমি। এই বিষয়ে সন্দেহাতীতভাবে সবাই একমত হওয়া গেল যে, ইমনের সব ভালো শুধু নিজের ভিতর কী যেন লুকিয়ে রাখে’’।

পিয়াস মজিদের ছোটগল্পগুলো যেমন আধুনিক তেমনি বৈচিত্রপূর্ণ। তাঁর গল্পে চরিত্রকে জড়িয়েই সবকিছু- তবু গল্প কোথাও ঘটনাপ্রধান, কোথাও তা অনুভূতিনির্ভর। কোনো গল্প মানসিক দ্বন্দ্বের, আবার কোথাও গল্প রহস্যাত্মক। আর পিয়াস মজিদ যেহেতু মূলত কবি, তাই গল্প বলার ক্ষেত্রে এর ভাষা কোথাও কবিতার দিকে চলে, দারুন ব্যঞ্জনাপূর্ণ হয়; আবার কোথাও তা দৃঢ়রূপে গদ্যধর্মী; কোনো গল্প ভঙ্গিটা আত্মজৈবনিক, কোথাও বা তা একেবারে নৈর্ব্যত্তিক। তাঁর রচিত কবিতা আর ছোটগল্প মেজাজের দিক থেকে খানিকটা এক রকম; দারুণ ও দুর্দান্ত! ‘রিমঝিম মাংসবিতান’ গল্প থেকে পাঠ করব কয়েক লাইন, ‘‘একদিন তিনি বলছিলেন সেই গা শিউরে-ওঠা মাংসের গল্প। হোটেল ব্যবস্থাপনার কাজে ছিলেন তিনি। মাঝরাতে এক কাস্টমারকে খাবার দিতে গিয়ে বাবুর্চির চিৎকারে ছুটে গেলেন রান্নাঘরে। গিয়ে দেখেন, মাংসের বিশাল হাঁড়িতে ভাসছে মানুষের একটা আস্ত আঙুল। বাবুর্চি ভয়ে অজ্ঞান। নাদিমের বাবা বললেন, ‘ওই দৃশ্য দেখে আমিও অসুস্থ হয়ে পড়লাম। হোটেলের কাজ ছেড়ে দিলাম সে-রাতেই। হতে পারে অপঘাতে মরা কোনো মানুষের লাশ অদৃশ্য করে দিতে খুনিরা টুকরো টুকরো দেহের বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে দিয়েছিল বিভিন্ন জায়গায়।’

এরকম ‘মায়া-মফস্বলের ছেলেমেয়ে’ গল্পেও আকস্মিকতার ছোঁয়া পাই। যেমন- ‘‘অভিনু পড়ে৷ অভিনু পোড়ে। ছাই হয় না। পাথর হয়। পাথরের পাষাণ-সরোবর মরে মরে কোমল কুসুম হয়৷ সেরকম গিফট দেওয়ার মানুষ তো অনেক আছে, যারা ঋভার দৃষ্টিপ্রত্যাশী। কিন্তু ঋভা তো অভিনুর মনের মধ্যিখানে বাস করা ‘তিথিডোর’ এর স্বাতী৷ সে নিশ্চয়ই বুঝবে ‘হাত বাড়িয়ে দাও’ এর মর্ম। হায়! দিলো তো অভিনু গিফটটা। নিলো; ঋভা। পরদিন চিরকুট এল’’।

পিয়াস মজিদের গল্পের শেষদিকে অদ্ভূত ক্ষিপ্রতা থাকে। চমক বা মোচড় থাকে- যাকে বলা যায় ‘চাবুক মারা সমাপ্তি’। এজন্য সর্বোপরি গল্পসমাপ্তির পরেও পাঠকের মনের মধ্যে এর গুঞ্জরণ চলতে থাকে। তাঁর গল্পের বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তিনি যেখানে পরিসমাপ্তি টানেন, পাঠকের সেখানে চিন্তার শুরু হয়। ‘রিমঝিম মাংসবিতান’-এর শেষটা এমন, ‘‘যানজটের রাস্তায় একটা বাসের জোর ধাক্কা; তারপর ঘুরতে যাওয়ার বিকেলই হয়ে গেল রিমার কাছে জীবনের গভীর রাত। ড্রাইভারসহ তরিক স্পট ডেড। রিমা অজ্ঞানই ছিল অনেকটা সময়। জ্ঞান ফিরলে উৎসুক মানুষ-পুলিশ-অ্যাম্বুলেন্স সবকিছুর ভিড় গলিয়ে দেখে তরিক জাপটে ধরে আছে তাকে; রক্তমাংসে একাকার ছিন্নভিন্ন সারাশরীর তার। জটলা থেকে কে যেন বলে, ‘অ্যাক্সিডেন্ট বুঝে বউটারে বাঁচাইতে চাইছিল মনে হয় লোকটা। তাই এভাবে ধইরা রাখছিল।’ আহত রিমা অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে ভাবছে কী করে এখন সে তরিকের বন্ধন থেকে নিজেকে মুক্ত করবে? তার ভাবনাকে এলোমেলো করে দিয়ে এই কদিনের বৃষ্টিহীন ঢাকার আকাশ হঠাৎ সজল স্বরে কথা বলে উঠল– রিম ঝিম রিম’’।

কেন পিয়াস মজিদের গল্প আপনি পড়বেন? আমার মনে হয়, একজন গল্পকার যখন গল্প লিখেন তখন তাঁর স্বাদ যেরকম হয়; একজন কবি যখন গল্প লিখেন তখন গল্পটি অন্য গতি পায়। সেটির বর্ণনা হয় কাব্যিক মাধুর্যমণ্ডিত, ভাষাবিন্যাস হয় নির্মেদ কিন্তু ইঙ্গিতধর্মী, উপমা অলঙ্কার হয় বিষয়ানুগ। আর এসব মিলিয়ে কবি পিয়াস মজিদের গল্প কিছু অনন্য ও অনিবার্য বৈশিষ্ট্য ধারণ করে। এই স্বাদ পেতে আপনাকে ‘পিয়াস মজিদ’ পড়তেই হবে।

প্রকাশিত পত্রিকা- দৈনিক মানব কণ্ঠ, ১০ এপ্রিল, ২০২১

পিয়াস মজিদের ‘রিমঝিম মাংসবিতান’
Scroll to top