ডলারের বাজারে কারসাজির নেপথ্যে কারা : হাসান হামিদ

বেশ কিছু দিন ধরে বাংলাদেশের বাজারে আলোচিত একটা বিষয় ডলারের ঘাটতি। পাশাপাশি ডলারের ক্রমশ ঊর্ধ্বমূল্য নিয়েও আলোচনা চলছে। বিদেশ থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স কমে যাওয়াসহ একই সময়ে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে ডলারের চাহিদা হুট করে আকাশ ছুঁয়েছে। বলা যায় মুদ্রাবাজারের এই অস্থিরতা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিকে এখন চোখ রাঙাচ্ছে। আর এ ঘটনা আমদানি নির্ভর সব খাতেই কম-বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সহজ ভাবে বললে, ডলারের এমন করে দাম বৃদ্ধিতে বেড়েছে আমদানি ব্যয়। আর তাতে বাড়ছে মূল্যস্ফীতিও। দেশের ডলার বাজারে চলা বর্তমান সংকট দিন দিন আরও বাড়ছে। এর কারণ মোটা দাগে আজকের বিশ্ব পরিস্থিতি। আর এই পরিস্থিতি এমন অবস্থায় এসে ঠেকেছে যে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দেশীয় ব্যাংকগুলো বিদেশি ব্যাংকের এলসি নিশ্চিতকরণের প্রতিশ্রুতি পূরণে দেরি করছে। এ কারণে ব্যাংকগুলোকে বাড়তি এলসি কনফার্মেশন ফি দিতে হচ্ছে। এভাবে বাজারে ডলার ঘাটতি আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এদিকে ডলারের এমন চাহিদা বৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে একটি চক্র বাজার থেকে অপ্রয়োজনে ডলার কিনে মজুত করছে বলে তথ্য পেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ২৬ জুন খোলাবাজারে ডলারের দাম হুট করে ১১২ টাকায় উঠেছিল। এই খবর পাওয়ার পরই বিষয়টি নিয়ে ভাবতে শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। জানা যায়, ডলারের দাম নিয়ে কারসাজি ঠেকাতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০টি পরিদর্শক দল। গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘খোলাবাজারে এক ডলারের বিপরীতে দিতে হচ্ছে ১১২ থেকে ১১৪ টাকা এমন খবর পাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০টি দল মানি চেঞ্জার হাউজগুলোতে তদারকি চালায়। ডলার সংরক্ষণ এবং লেনদেনের তথ্যও সংগ্রহ করা হয়৷’ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ‘বাজার স্থিতিশীল রাখতে নিয়মিত ডলারের জোগান দেওয়া হচ্ছে। তারপরও ব্যাংক আর খোলাবাজারে ডলারের ব্যবধান অস্বাভাবিক। এখানে কেউ কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে কি না সেটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘সরেজমিনে তদারকি দল যে রিপোর্ট দেবে সেখানে যদি কোনো ধরনের কারসাজির প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’ করোনা-নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় বিভিন্ন দেশের লোকজনের বিদেশ ভ্রমণ বেড়েছে। তাছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবেও বেশ কিছুদিন ধরে বিশ্বের অনেক দেশের মুদ্রামানের বিপরীতে ডলারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনটা ঘটেছে বাংলাদেশেও। ঠিক এই সুযোগ নিচ্ছে কিছু অসাধু ব্যক্তি। অভিযোগ উঠেছে শুধু ব্যক্তি নয়, কয়েকটি মানি চেঞ্জার্স, এমনকি বাণিজ্যিক ব্যাংকও এ কারসাজিতে জড়িত।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৭ জুলাই ডলারের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেঁধে দেয়া আন্তব্যাংক দর ছিল ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা। সেদিন বেঁধে দেয়া এই দামে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে ব্যাংকগুলো এই দরের চেয়ে ১০ থেকে ১৩ টাকা বেশি দামে ডলার বিক্রি করেছে। উদাহণস্বরূপ গত ২৭ জুলাই ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড মাত্র এক দিনের ব্যবধানে ৭ টাকা বাড়িয়ে ১০৮ টাকায় নগদ বিক্রি করেছে প্রতি ডলার। এর আগের দিন অর্থাৎ ২৬ জুলাই দাম ছিল ১০১ টাকা। আইএফআইসি ও সিটি ব্যাংক থেকে এক ডলার কিনতে ২৭ জুলাই গুনতে হয় ১০৭ টাকা। রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংক ১০৩ টাকা দরে নগদ ডলার বিক্রি করেছে। অন্য তিন সরকারি ব্যাংক সোনালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংক বিক্রি করেছে ১০২ টাকায়।

সূত্র বলছে, গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ৭৬২ কোটি ১৭ লাখ ডলার বিক্রি করে। আর এই অর্থবছরের এক মাস যেতে না যেতেই আরও ১১০ কোটি ডলার বিক্রি করা হয়েছে। ঠিক এই কারণে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করা রিজার্ভ এখন দাঁড়িয়েছে ৩৯ দশমিক ৪৮ বিলিয়নে। অবশ্য আমদানি খরচ কমাতে স্বর্ণ, গাড়ি, এসি, টিভি, ফ্রিজসহ ২৭ ধরনের পণ্যের এলসিতে নির্ধারণ করা হয়েছে শতভাগ মার্জিন। পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, ওষুধ, জ্বালানিসহ কিছু জিনিসের বাইরে অন্য ক্ষেত্রে মার্জিনের হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৫ শতাংশ। তাছাড়া ডলারের খরচ কমাতে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প খরচ কাটছাঁট ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে লাগাম টানা হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির খরচ সাশ্রয়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন নির্দেশনা। এমনকি বাজারে সরবরাহ বাড়াতে ব্যাংক ও রপ্তানিকারকের ডলার ধারণের ক্ষমতা কমানো হয়েছে। কিন্তু তাতেও ডলার ঘাটতি কমছে না।

করোনা মহামারির পর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। কারণ যুদ্ধের কারণে নিত্যপণ্যের মূল্য যে হারে বাড়ছে, তাতে অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতিতে ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে। আর জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানি খাতে খরচ বেড়েছে স্পুটনিক হারে। রেকর্ড পরিমাণ রপ্তানি আয়ের পরও স্বস্তি মিলছে না। চলমান ডলার ঘাটতি দেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংকাররা বলছেন, আন্তঃব্যাংক বাজারকে আরও স্বাধীনভাবে পরিচালনা করা দরকার। কেন এটা তারা বলছেন? কারণ তাতে তারল্যের প্রবাহ নির্বিঘ্ন থাকবে। এজন্য তারা চান, কোনো ব্যাংকেরই যাতে নির্ধারিত সময়ে অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি পূরণের সক্ষমতা নষ্ট না হয়। এসবের মধ্য দিয়ে বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর সুনাম ধরে রাখতে এবং আরও বাড়াতে সক্ষম হবে। দেশের একাধিক ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশের ব্যাংকগুলো নির্ধারিত তারিখে অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি পূরণে বিলম্ব করছে। নির্ধারিত সময়ে অর্থ পরিশোধের যে কোনো বিলম্বের কারণে অপর পক্ষের কাছ থেকে ডিফল্ট হিসেবে চিহ্নিত হতে হয়। এমন ঘটনা নিয়মিত ঘটতে থাকলে সেই বাজার বিনিয়োগকারী কিংবা ঝুঁকি গ্রহণকারীদের কাছে আকর্ষণ হারায়। শেষ পর্যন্ত এই পরিস্থিতি এলসি কনফার্মেশন করার খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। একই সঙ্গে তা বাণিজ্য এবং ঋণের জন্য অর্থ আদান-প্রদানে ডিসকাউন্টিংয়ের সুযোগ কমিয়ে ব্যয় বাড়িয়ে তুলছে। আর এভাবে বাজারে ক্রমশ ডলার ঘাটতি বাড়ছে।

আড়াই মাস আগে হঠাৎ করেই ডলারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় দেশের বাজারে। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে গত ১৭ মে প্রথম বারের মতো ডলারের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক ২৩ মে প্রতি ডলার ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা বেঁধে দিলেও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তা মানেনি। এখন অবশ্য ব্যাংকে এলসি করতে গেলে ডলারের বিপরীতে নেওয়া হচ্ছে ৯২ থেকে ৯৭ টাকা। ফলে আমদানিতে প্রতি ডলারের জন্য এখনও গুনতে হচ্ছে বাড়তি অর্থ। বাজারে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ডলার ঘাটতি। কিছুদিন আগে ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তাদের সেই প্রতিবেদন বলছে, চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বৈদেশিক মুদ্রা বিশেষত মার্কিন ডলারের আরও প্রবাহ এবং তারল্য নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি উৎসাহিত করতে হবে রপ্তানি ও রেমিটেন্সকে। আর অপ্রয়োজনীয় এবং বিলাসী পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করতে হবে। এসব করার সর্বোত্তম কৌশল হলো মুদ্রা বিনিময় হারকে বাজারের চাহিদা এবং সরবরাহ অনুযায়ী নির্ধারণ করা। এই পরিস্থিতিতে আমাদের অবশ্যই রপ্তানিকারকদের তাদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা এবং মুনাফা বাড়ানোর জন্য সর্বোত্তম মূল্য পাওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে যারা দেশে রেমিট্যান্স পাঠান, তাদের জন্য আকর্ষণীয় হারে প্রণোদনা দিতে হবে।

যদিও বিশ্লেষকরা মনে করেন, দেশের রপ্তানি আয় এবং প্রবাসী আয় রাতারাতি বাড়ানো একেবারেই সম্ভব নয়। তাছাড়া ডলারের দাম বাড়ালেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, এরও কোনো নিশ্চয়তা নেই। আবার ডলারের দাম বৃদ্ধি পেলে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে আসলে লাগাম টানতে হবে আমদানি খরচে। পাশাপাশি রেমিট্যান্স বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, রপ্তানির তুলনায় আমদানির ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ডলারের চাহিদা বাড়ছে। ব্যাংকগুলোর চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার সরবরাহ করছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের গত ১৮ মে পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ৫ বিলিয়নের বেশি ডলার বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে বিক্রি করেছে। অথচ ২০২০-২১ অর্থবছরে টাকার মান ধরে রাখতে ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার কিনেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২২-২৩ অর্থবছরের যে মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে, তাতে বলা হয়েছে, দেশে রফতানি আয়ের চেয়ে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ৩০ জুন শেষ হওয়া বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে পণ্য বাণিজ্যে ঘাটতি পৌঁছাতে পারে ৩৩ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলারে। একই অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে ২৬ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য ঘাটতি হতে পারে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছিল। এদিকে নতুন মুদ্রানীতিতে বাণিজ্য ঘাটতি প্রাক্কলন করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বাণিজ্য ঘাটতির তথ্য প্রকাশ করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাতে দেখা যায়, এই ১০ মাসে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২৭ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে অর্থবছরের বাকি দুই মাস অর্থাৎ মে ও জুন শেষ হয়েছে। এই দুই মাসের তথ্য যোগ করে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন মুদ্রানীতিতে বলা হয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে পণ্য রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হবে ৩২ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্র বলছে, ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ৬৮ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলারের বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এই হিসাব গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪১ দশমিক ৪২ শতাংশ বেশি। আর ২০২০-২১ অর্থবছরের এই ১০ মাসে ৪৮ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছিল। অন্যদিকে এই ১০ মাসে বিভিন্ন পণ্য রফতানি করে ৪১ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার আয় করেছেন রফতানিকারকরা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি। এ হিসাবেই ১০ মাসে পণ্য বাণিজ্যে সার্বিক ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার। এর ফলে বড় ঘাটতি দেখা দিয়েছে ব্যালান্স অফ পেমেন্টে। অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক ১৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে ঘাটতি ছিল মাত্র ১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলারের।

অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স কমে যাওয়া এবং আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণে আমাদের রেকর্ড ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, আগের মাসের চেয়ে গত জুন মাসে এলসি নিষ্পত্তি প্রায় ১৮ শতাংশ বেড়ে ৮৫৫ কোটি ডলারে ওঠে। অবশ্য জুন মাসে নিষ্পত্তি হওয়া এলসির বেশিরভাগই আগে খোলা। আর এলসি খোলা কমে যাওয়ার মানে নিকট ভবিষ্যতে আমদানি ব্যয় কমবে। সূত্র বলছে, জুলাইতে এলসি আরও কমেছে। মূল্য বিবেচনায় জুলাই মাসে কমার হার ২৫ শতাংশ এবং রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার। আগের মাস জুনে রেমিট্যান্স এসেছিল অন্তত ১৬ কোটি ডলার কম। সব মিলিয়ে কয়েক মাসের মধ্যে এই অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ার আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ডলারের বাজারে কারসাজির নেপথ্যে কারা : হাসান হামিদ
Scroll to top