হাসান হামিদ
কিছুদিন ধরে শুনছি একটি আলোচনা। সারাদেশে আমাদের কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এত কম দামে কৃষকদের ধান বিক্রি করতে হচ্ছে যে, তাদের উৎপাদন খরচই উঠছে না। যেখানে এক মণ ধান সরকার ক্রয় করছে ১ হাজার ৪০ টাকায়, সেখানে হাটবাজারে কৃষকদের ধান বিক্রি করতে হচ্ছে ৪৫০ বা ৫০০ টাকায়। তাহলে মনে প্রশ্ন জাগে, সরকার কার ধান কিনছে? আবার দায়িত্বশীল জায়গা থেকে কেউ কেউ বেশি ধান হয়েছে বলে যে মন্তব্য করেছেন, তা শুনলে মনে হবে, বেশি ধান উৎপাদন করা কি তবে সমস্যা? কৃষকরা ধান বিক্রি করছেন ১৩ টাকা কেজি দরে। অথচ বাজারে চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫/৬৫ টাকায়। যারা বিক্রি করছেন তাদের লস হচ্ছে, যারা চাল কিনছেন তারাও আগের দামেই কিনছেন। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠবে, লাভবান তাহলে হচ্ছে কারা? কৃষককে ঠকিয়ে কারা চাল আমদানির পায়তারা করছে?
আমরা অনেকেই জানি যে, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দেশের কৃষকদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে নিজের ছেলে রথীন্দ্রনাথকে অক্সফোর্ড বা কেমব্রিজে না পাঠিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছিলেন কৃষিবিজ্ঞান বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য। শুধু কবিপুত্র নয়, তিনি তার জামাতা ও এক বন্ধুপুত্রকেও পাঠিয়েছিলেন। কবি বিশ্বাস করতেন, প্রায় ৯০ শতাংশ কৃষকের এ উপমহাদেশের প্রয়োজন বিজ্ঞানভিত্তিক কৃষি উন্নয়ন। তিনি বলতেন, ভারতীয়দের অক্সফোর্ডে উন্নত ভদ্রলোক হওয়ার চেয়ে ইলিনয়তে উন্নত কৃষক হওয়ার শিক্ষাগ্রহণ করা প্রয়োজন।
সহজেই অনুমান করা যায়, কত আগেই কবিগুরু এদেশের কৃষক ও কৃষি নিয়ে ভেবেছেন, যার প্রয়োজন আমাদের মনে এখনো জাগেনি! এমনকি রবীন্দ্রনাথ বিজ্ঞানভিত্তিক কৃষিপদ্ধতি প্রবর্তনে কলের লাঙল ব্যবহারের কথা বলেছেন। আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের জন্য পতিসরে সাতটি বিদেশি কলের লাঙল আনেন কলকাতা থেকে। আমেরিকা থেকে কৃষি বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি শেষে কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ পতিসরে আসেন; ক্ষেতে ট্রাক্টর চালান; আধুনিক কৃষি খামার প্রতিষ্ঠায় কৃষকদের উৎসাহী করেন। রথির কৃষি খামার দেখে নিউইয়র্ক থেকে আসা এক আইনবিদ মাইরন ফেলপস এতটাই অবাক হয়েছিলেন, তিনি একে মার্কিন কৃষি খামারের মতোই সফল এক উদ্যোগ বলে বর্ণনা করেছিলেন। (কৃষ্ণা কৃপালিণী, রবীন্দ্রনাথ ট্যাগর- অ্যা বায়োগ্রাফি ইউবিএসপিডি, ২০০৮, পৃ. ১৬৩)।
তৎকালীন সমাজে দরিদ্র কৃষকের অবস্থা বেশ শোচনীয় ছিল। কৃষি উৎপাদনের জন্য তাদের মূলধনের বেশ অভাব ছিল। সে সুযোগে সমাজের এক শ্রেণীর ধনী-মহাজনদের দাদন ব্যবসা ছিল রমরমা। তাদের এ মহাজনী চড়া সুদে কৃষকেরা সর্বশান্ত হতেন । তাদের কষ্ট কবিগুরু হৃদয় দিয়ে অনভব করেছেন। তিনি তার লেখা ‘দুই বিঘা জমি’–তে উপেন চরিত্র চিত্রায়নের মাধ্যমে মহাজনী শোষনের নিষ্ঠুর চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। সমব্যাথী হয়েছেন গ্রামের এসব দরিদ্র অসহায় কৃষদের সাথে। কবি পদ্মার পলি বিদৌত জনপদে কৃষিকে অবলকোন করেছেন হৃদয় দিয়ে। তার “সোনার তরী” কবিতাটি শিলাইদহ অবস্থান কালীন বজারায় বসে লিখেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের সময়ের কৃষকের চেয়ে আজকের কৃষকের অবস্থা আরও অনেকখানি করুণ হয়েছে নানাভাবে।
খবরের কাগজে কয়েক দিন আগে পাকা ধানে আগুন দেবার সংবাদ পড়েছি। সেই কৃষক বলেছেন, ‘ধান না থাকলে বউ-বাচ্চা নিয়া খাবো কী, ধানইতো আমাদের প্রধান খাদ্য। তাই লোকসান হইলেও কষ্ট কইরা ধান আবাদ করি।’ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পাকা ধানে আগুন লাগিয়ে অভিনব কায়দায় প্রতিবাদকারী সেই কৃষক আব্দুল মালেক সিকদার আক্ষেপ করে এসব কথা বললেও এই জিনিস তিনি সুখে করেননি। তিনি সংবাদ মাধ্যমে বলেছেন, ‘পাকা ধানে আগুন দিতে আমার খুব কষ্ট হইছে। কিন্তু কী করব, কষ্ট কইরা ধান আবাদ করি, অথচ সেই ধানের ন্যায্য মূল্য পাই না। তাই মনের দুঃখে আমি এই কাজ করছি। আর ধানের দাম বাড়ানো হলেই আমার এই কষ্ট, আমার এই প্রতিবাদ সার্থক হবে।’ পত্রিকার খবর অনুযায়ী, ধানের দাম কম থাকায় এবং শ্রমিকের দাম অনেক বেশি হওয়ায় রাগে, ক্ষোভে-দুঃখে মালেক সিকদার গত ১২ মে তার ৫৬ শতাংশ একটি জমির এক কোণে কেরোসিন তেল ঢেলে পাকা ধানে আগুন লাগিয়ে প্রতিবাদ জানান। পরে তার দেখাদেখি আরো কয়েকটি স্থানে পাকা ধানে আগুন দিয়ে প্রতিবাদ জানানোর ঘটনা ঘটে। কৃষকদের এই অবস্থা কোনো ভাবেই মানা যায় না।
একথা সত্য যে, খাদ্যশস্য উৎপাদনে গত অর্ধযুগের ধারাবাহিক সাফল্যতে বর্তমান সরকারের কৃতিত্ব আছে। প্রতি বছর খাদ্যশস্যের উৎপাদন বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধবনীতি ও কর্মকাণ্ডের ফলশ্রুতিতে ক্রমে বেড়েছে। মূলত চারটি প্রধান কারণে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে গত অর্ধযুগ ধরে। এক, অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় ফসল আবাদের জন্য কৃষক এখন বেশি পরিমাণ গুণগতমান সম্পন্ন ফসলের বীজ পাচ্ছেন। পূর্ববর্তী সরকারের আমলে বিএডিসি থেকে বিভিন্ন ফসলের বীজ সরবরাহ করা হয় ২ লাখ ৬১ হাজার ৫৯ টন যা বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমান সরকারের আমলে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৩ টনে। এ বৃদ্ধি চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত হলেও তা আড়াই গুণের বেশি। দুই, অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় এ সময়কালে অনেক বেশি সংখ্যক জাত উদ্ভিদ প্রজননবিদরা উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছেন আর অনেক বীজ এরই মধ্যে কৃষক পর্যায়ে বিতরণ করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে বিভিন্ন ফসলের মোট ১৪৫টি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। তিন, সারের মূল্য হ্রাস ও দক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণে আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় কৃষক স্বল্প মূল্যে সুষম সার প্রয়োগ করার সুযোগ পেয়েছেন। বর্তমান সরকারের আমলে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ আরও গতিশীল হয়েছে। ‘খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি’ প্রকল্পের মাধ্যমে ভর্তুকি প্রদানের মাধ্যমে ২৫% কম মূল্যে ৩৫টি জেলায় ৩৮ হাজার ৩২৪টি বিভিন্ন প্রকার কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছে। তাছাড়া বিএআরআই এবং বিআরআরআই কর্তৃক উদ্ভাবিত কৃষি যন্ত্রপাতি মোট মূল্যের ৬০% পর্যন্ত ভর্তুকি মূল্যে কৃষকের নিকট সরবরাহ করে যাচ্ছে।
মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সরকার অঞ্চলভিত্তিক ১৭টি সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এসব উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে এলাকা উপযোগী ফসলের জাত উন্নয়ন, সম্ভাবনাময় কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, সেচ অবকাঠামো নির্মাণ করে সেচের আওতা বৃদ্ধি করা, কৃষিজাত পণ্যের বাজার সুবিধা বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে। দেশে বর্তমান সরকারের আমলে ডিজিটাল কৃষি ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে। কৃষি তথ্য সার্ভিসের মাধ্যমে দেশের ১০টি কৃষি অঞ্চলে ২৪৫টি কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র (এআইসিসি) স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কৃষক ফসল উৎপাদন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন। দেশে মাটির উর্বরতা অনুযায়ী অনলাইন সুষম সার সুপারিশ করার জন্য ২০০টি উপজেলায় ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। তাছাড়া দেশে এওঝ ভিত্তিক মডেলিংয়ের মাধ্যমে ১৭টি শস্য উপযোগিতা বিষয়ক ম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি অঞ্চলভিত্তিক শস্য উৎপাদনকে আগামী দিনে আরও ত্বরান্বিত করবে। এই সবকিছুই সরকারের সফল কর্মকান্ড, যা প্রশংসার দাবি রাখে। তবে একথাও সত্য যে, প্রায় এক যুগ ধরে আমরা জেনে আসছি কৃষকের উৎপাদন খরচ দিন দিন বাড়ছে। সবচেয়ে খারাপ লাগে, যখন শুনি উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে কৃষক ধান বিক্রি করছেন। সেচ, বীজ, সারের সংকটের চেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ধানকাটার মজুরের ঘাটতি। এ বছর প্রায় দেড় মণ ধানের দামে পাওয়া যাচ্ছে এক বেলার মজুর। অবশ্য কৃষি শ্রমিকরা শহর ও শিল্পমুখী হওয়াতে এই সংকট তৈরি হয়েছে। এক বিঘা জমির গড় ৩০ মণ ধান ১৯ হাজার টাকায় ফলিয়ে বিক্রি করছেন ১৬ হাজার বা তারচেয়েও কম দামে। এবার ১ মণ ধান বিক্রির টাকায় ১ কেজি গরুর মাংস পাওয়া যাচ্ছে না। বাজারে গরুর মাংস ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। কয়েক দিন আগে আমাদের কৃষিমন্ত্রী স্বীকার করেছেন যে, সরকার যে ধান-চাল কিনছে, সেই সুবিধাও মধ্যস্বত্বভোগীদের ডিঙিয়ে কৃষকের কাছে পৌঁছানো যাচ্ছে না। আমাদের দেশের বেশিরভাগ কৃষকের ধান মজুত রাখার মতো আর্থিক ও অবকাঠামো সচ্ছলতা নেই। ফলে কৃষকদের একটি বড় অংশকে মাঠ থেকেই ধান বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। আর মজুতদারদের কারসাজিতে দাম যখন বাড়ে, তখন কৃষকের গোলায় ধান নেই।
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭০% এখনো গ্রামে থাকেন। যদিও জাতীয় আয়ের বড় অংশ এখন আর কৃষি নয়, কিন্তু কৃষির সাথে জড়িত দেশের নিরংকুশ প্রধান অংশের জনগণ। কৃষির সাথেই তাদের ভাগ্য জড়িয়ে রয়েছে। এমনকি যারা শহরে বিভিন্ন ধরনের পেশায় জড়িত, তারাও কৃষি ও কৃষকের সমস্যার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছেন। টেলিভিশনের পর্দায় কিছু সংখ্যক ভাগ্যবান কৃষক ও কৃষি-বুর্জোয়ার উন্নতির কাহিনী ছাড়া বাস্তবে ব্যাপক কৃষক জনগণের ভাগ্যের-যে কোন মৌলিক পরিবর্তন হয়নি তা প্রায় সবাই একবাক্যে স্বীকার করবেন। বৃটিশ ও জমিদারী আমলে কৃষকের সমস্যা যে ধরনের ছিল এখন অবশ্য সেরকমটি নেই। কিন্তু শোষণ-বঞ্চনা থেকে কৃষকের মুক্তি ঘটেনি। খোদ কৃষকের একটা বড় অংশের হাতে তেমন একটা জমি নেই। জোতদার, কৃষি বুর্জোয়া, ধনী কৃষক, অকৃষক শহুরে ভদ্রলোক, মাছ-মুরগী-ফল খামারের ধনী মালিক, এবং রাষ্ট্র- এদের হাতে ব্যাপক কৃষি-জমি জমা হয়ে রয়েছে। জমির বড় অংশ চলে যাচ্ছে রাস্তা-ঘাট নির্মাণ, হাউজিং প্রজেক্ট, ইটখোলা, চিংড়ী চাষ এবং শিল্প-কারখানার নামে বড় বড় ধনী, বিদেশী সাম্রাজ্যবাদী ও ভারতীয় কোম্পানী ও তাদের রাষ্ট্রের হাতে। জলা-পুকুর-খাল-নদী-হাওর-বাওড় প্রভৃতির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। হাট-বাজার-নদী-ঘাট-জলাশয়-হাওর ইত্যাদির ইজারাদারী কৃষকের জীবন-জীবিকার উপর বড় বোঝা হয়ে রয়েছে। ধান চাষ করে কৃষক যদি ক্ষতির সম্মুখীন হন, তবু তারা হয়তো আগামীতেও ধান চাষই করবেন। কিন্তু পরবর্তী কৃষক প্রজন্ম এ পেশা থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিবে। আজ কৃষি শ্রমিক সংকট হচ্ছে, আগামীতে কৃষক সংকট হবে। কৃষক ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না তা শুধু নয়, তারা উৎপাদন খরচও তুলতে পারছে না এটাই বেশি কষ্টের। আর এসব চিন্তায় কৃষকের চোখে ঘুম নেই। যে স্বপ্ন এতোদিন ধরে দেখেছেন কৃষক, সেই স্বপ্ন এখন দুর্দশা হয়ে এসেছে। আমি বুঝি না, ফ্যাক্টরির মালিকরা তাদের উৎপন্ন পণ্যের দাম যদি নিজ ইচ্ছায় আমাদের থেকে আদায় করতে পারেন, তবে কৃষক কেন তাদের উৎপাদিত ধানের মূল্য নির্ধারণ ইচ্ছানুযায়ী করতে পারেন না?
সৃজনশীল প্রশ্নটি এবার করা যাক। আমাদের কৃষকের এই করুণ দুর্দশার পাশাপাশি নানা রকমের তুলনামূলক হিসাব-নিকাশ চলছে। এক কেজি ধানের দাম ১২ টাকা। কিন্তু এক কেজি গরুর মাংসের দাম ৫২৫ টাকা। আর এক মণ ধানের দাম ৪৫০-৫০০ টাকা। এভাবে দেখা যায়, এক মণ ধান বিক্রি করেও কৃষক এক কেজি গরুর মাংস কিনতে পারেন না। তুলনামূলক এই আলোচনায় ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে একটি প্রকল্পের জন্য ‘বালিশ’ কেনা ও উঠানোর হিসাব। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টের কর্মকর্তাদের জন্যে আবাসিক ভবনগুলোতে এক-একটি বালিশ কেনা হয়েছে ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা দিয়ে। প্রতিটা ‘বালিশ’ ১৬-২০ তলা ভবনে তোলার জন্যে খরচ হয়েছে ৭৬০ টাকা। অর্থাৎ একটি বালিশের পেছনে রাষ্ট্রের খরচ হয়েছে ৬ হাজার ৭১৭ টাকা। প্রশ্ন হলো, ৪৫০ টাকা মণ ধরে হিসাব করলে কয় মণ ধানের দাম একটি বালিশের দামের সমান?
প্রকাশিত পত্রিকা- দৈনিক আমাদের সময়, ২৪ মে, ২০১৯