হাসান হামিদ
খুব সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা রাষ্ট্রের কাছে আসলে কী চাই? জীবনের কাছে? বন্ধুস্থানীয় শিক্ষিত সচেতন হিসেবে জানি এমন একজন আমাকে বললেন, ভোট দেয়া ছাড়া দেশের আর কোনো রাজনৈতিক কাজে জড়িত হবার আগ্রহ তার নেই। রাজনীতি নিয়ে আজকের তরুণদের নিগ্রহের কারণও আছে। বিভিন্ন দলে নাম লিখিয়ে টাকা বানানোর বিদ্যায় পারদর্শী কেউ যখন নিজেকে রাজনীতিক হিসেবে দাবি করছে, নির্লজ্জের মতো চামচামি করছে; তখন শিক্ষিত সজ্জনদের এর থেকে দশ হাত দূরে থাকতে চাওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু যেসব চোর-বাটপার আর চৌকস চামচারা রাজনীতিকে কলুষিত করে ফায়দা লুটছে, তাদের কুকর্ম কি সাধারণেরা চুপ করলেই থেমে যাবে? কখনোই না।
আর আধুনিক মানুষ যেহেতু এখন পলিটিক্যাল এনিমেল সেজন্য রাজনীতিকে বাদ দিয়ে চলা মুশকিল। এমনকি ব্যক্তি জীবনযাপনের অনেক কিছুই রাষ্ট্রের অনেক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল। আর রাষ্টের মুখ্য বা ঐচ্ছিক সব কাজই জনকল্যাণের নিমিত্তে নির্ধারিত হয়। তাই যেকোনো বড় পরিকল্পনার আগে সাধারণের চাওয়া জেনে নেওয়ার ব্যবস্থা থাকলে ভালো হয়। যদিও আমাদের এখানে নীতি ভঙ্গের, কথা দিয়ে তা না রাখার চর্চাই হচ্ছে দীর্ঘ দিন ধরে। তবুও মানুষ চায়, সমাজে দুর্নীতি বন্ধ হোক।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে তাঁর কঠোর অবস্থানের জন্য। বর্তমান সরকারের এই কার্যক্রমে কিছু বিষয়ে আরও সংস্কার আনতে হবে। এর মধ্যে মেধাভিত্তিক দুর্নীতিযুক্ত প্রশাসনের সংস্কার অন্যতম। জনকল্যাণমুখী বর্তমান সরকারের জন্য নৈতিকতা সম্পন্ন, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে হবে। এর বাইরে আমলাতান্ত্রিক জটিলতাও দূর করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। এর কার্যক্রমও সবার কাছে প্রশংসিত হচ্ছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান অভিযান জনমনে কিছুটা হলেও দারুণ স্বস্তি এনেছে।
ইতিহাস ঘেঁটে দেখলাম, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার ধারণাটি প্রথমে গ্রহণ করেছিল রাশিয়া। ১৯৭১ সালে স্বাধীন হবার পর বাংলাদেশও পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ করে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল ১৯৭৩ সালে। বর্তমানে বাংলাদেশে চলছে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা। এ পরিকল্পনার মেয়াদ ২০১৬-২০২০ সাল পর্যন্ত। জানতে পেরেছি, রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের প্রথম ধাপ শুরু হবে ২০২০ সাল থেকে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মাধ্যমে। আর এই পরিকল্পনায় প্রবৃদ্ধি অন্তত ৯ শতাংশ অব্যাহত রাখার বিষয়ে প্রাধান্য দেয়া হবে। পাশাপাশি চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য প্রস্তুতি নেবে বাংলাদেশ। এর মধ্যে সব বিষয়ই আসবে। আমি কেবল শিক্ষা নিয়ে কিছু কথা বলবো বলেই আজকের এই লেখা।
যারা দেশ উন্নতি করছে না বলে থাকেন, তারা হয়তো জানেন না, ১৯৭১ সালে এ দেশে দারিদ্র সীমার নিচে বাস করতো ৭০ শতাংশ লোক। আর এখন ২৪ শতাংশ লোক দরিদ্র। এই বছর আমরা এসডিজি লক্ষ্যমাত্রার চার বছর পার করছি। দারিদ্র শূন্যে নামানো, দেশকে ক্ষুধামুক্ত করা, সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ জ্বালানি সুবিধা, বৈষম্য হ্রাস, শিক্ষা-স্বাস্থ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করাসহ এসডিজি’র ১৭ টি লক্ষ্য অর্জনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ২০৩০ সালের মধ্যে বিনিয়োগ লাগবে ৯২৯ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৭৫ লাখ কোটি টাকা। পত্রিকা মারফত জেনেছি, বিদেশি ১০ শতাংশ আর সরকারি অর্থায়ন ৩৩ শতাংশ ধরে বাজেটের মাধ্যমে ব্যয়ের পরিকল্পনা সরকারের। এসডিজিতে প্রতিবছর প্রায় সাড়ে ছয় লাখ কোটি ডলার অতিরিক্ত সংস্থান কষ্টসাধ্য হলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার চায় ব্যয় বাড়িয়ে টেকসই উন্নয়নের বৈশ্বিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে সফল হতে। আমরা দেখেছি, সরকারের চলমান সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেলেও গত তিন বছরে মোট দেশজ উৎপাদনে বেসরকারি বিনিয়োগে খরা কাটছে না। এমনকি জিডিপির অনুপাতে রাজস্ব আয়ের হার তলানিতেই রয়ে গেছে। এছাড়া আমাদের দেশে রয়েছে দক্ষ জনশক্তির অভাব। এই দক্ষ জনশক্তির জন্যই আমাদের বর্তমানে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে হবে।
বাংলাদেশে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার প্রথম পদক্ষেপ কী হতে পারে? আমি মনে করি, কর্মমুখী শিক্ষার প্রতি জোর দেওয়া যেতে পারে সবার আগে। এখন দেখি অনেকেই স্বীকার করেন, শুধু সার্টিফিকেট অর্জনের জন্য পড়লেই আসলে হবে না। সারা বিশ্বের বিভিন্ন চাহিদার প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে হবে। এজন্য তাদের বিজ্ঞাননির্ভর আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা বেশি জরুরি। গত কয়েক দশক ধরে আমাদের সমাজে কীভাবে কীভাবে যেনো সবাইকে মাস্টার্স ডিগ্রি নিতে হবে এমন একটি ব্যাপার ঢুকে গেছে! আসলে এর কোনো দরকার বর্তমান বিশ্বে নেই। একেবারেই নেই। আজকের পৃথিবী বলছে, শিক্ষার্থীকে নিতে হবে কর্মমুখী শিক্ষা, যেন পড়ালেখা শেষ হওয়ার সাথে সাথে কর্মজীবনে প্রবেশ করা যায়। আর এজন্য আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে। দেশের কাজে কোন বিষয় বেশি দরকার, কোনটি কম প্রয়োজন তা ঠিক করে আগামীর প্রজন্মকে সেভাবেই গড়ে তুলতে হবে। আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে শিক্ষাটা যেনো কাজে লাগে। আর এভাবেই কার্যক্ষমতাসম্পন্ন জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে সব খাতে। এমনভাবে সিলেবাস সাজাতে হবে যা শিল্প চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি প্রাসঙ্গিক খাতে দক্ষ মানুষ গড়ে তুলবে। আমাদের দেশে কোন খাতে কতো লোক দরকার, আর শিক্ষার্থীরা কোন খাতে কতো শিখছে তার কোনো মিল নেই। এমনকি রসায়ন পড়ে ছেলেমেয়েরা ব্যাংকে চাকরি নিচ্ছে, মেডিকেলে পড়ে প্রশাসনে ঢুকছে। এটা দেশের জন্য কত ক্ষতি তা কেউ ভাবছে না।
এতকিছুর পরও আমাদের দেশ হাজার প্রতিবন্ধকতা নিয়ে ক্রমেই শিল্পের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এখন শিল্পমুখী দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে না পারলে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ হবে না। আর এ জন্য এমন শিক্ষা দিতে হবে যেন ব্যবহার উপযোগী প্রায়োগিক শিক্ষার গুরুত্ব পায়। সোজা কথা হলো শিল্পে এদের শিক্ষার ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়। বর্তমানে জাতীয়ভাবে ছোট বাচ্চাদের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। আমি মনে করি না এদের পাবলিক পরীক্ষা নেওয়া খুব জরুরি।এতো ছোট বাচ্চাদের ওপর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার এই চাপটি না দিলেও চলে। তবে একেবারে পরীক্ষা হবে না তা নয়; তাদের জন্য ক্লাস মূল্যায়ন থাকবে। আর কোন বিষয়টি একজন খুদে শিক্ষার্থী পছন্দ করছে সেটি খেয়াল রাখবেন অভিভাবক ও শ্রেণি শিক্ষক। খুব কম বয়সে এত চাপ বাচ্চার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। যে বয়সটা একেবারে খেলাধুলা, আনন্দ, হাসিখুশির মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণের কথা, সেই বয়সে বাচ্চাদের ওপর মানসিক চাপটা অহেতুক বাড়ানোর দরকার আছে বলে মনে হয় না। এরপর সময় মতো শিক্ষার্থীকে তার পছন্দের বিষয়টির দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে নিতে হবে। তারপর অষ্টম শ্রেণিতে বোর্ড পরীক্ষা থাকলো।
আমাদের দেশে যে হারে ছেলেমেয়েরা কাজ পায় না সেকথা বিবেচনা করে বলা যায়, ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত পাঁচ বছর মেয়াদে যে পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করা হবে, তাতে কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে সবার আগে। আর এই কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য প্রায়োগিক শিক্ষার ওপর জোর দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। অর্থাৎ মানসম্মত প্রায়োগিক শিক্ষার ওপর আগামী পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় আলাদা জোর দেওয়া জরুরি। এর ফলে কর্মমুখী শিক্ষা গড়ে উঠবে আমাদের দেশে। আর এখনকার শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো যে ধরনের শ্রমশক্তি চায়, সেই ধরনের জনশক্তির ঘাটতি রয়েছে আমাদের দেশে। এজন্য ব্যবস্থাপনা পর্যায়ের সব পদ পূরণ করতে হয় বিদেশ থেকে কর্মী এনে। কেনো আমরা এই লোকবল নিজেরাই তৈরি করতে পারি না? তাই এই ঘাটতি পূরণে কর্মমুখী শিক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ তৈরি, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ তৈরিতে চলমান প্রতিবন্ধকতা দূর করা, যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নতি সাধন করতে হবে। তাছাড়া স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাণিজ্যে প্রতিবন্ধতা সৃষ্টিকারী সকল ব্যবস্থা দূর করতে হবে। আমাদের দেশে এখনো ব্যবসা শুরু করতে ভূমি নিয়ে সমস্যা হয়, বিদ্যুৎ-জ্বালানি সংযোগ পেতে দেরি হয়। এসব দূর করতে হবে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সরকারকে এসব বিষয়ে অবশ্যই মনোযোগী হতে হবে।
পত্রিকায় প্রকাশিত খবর পড়ে জেনেছি, প্রক্রিয়াধীন অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আলোকে জিডিপির ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে এসব বাধাকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)। আর কয়েক মাস আগে পরিকল্পনা কমিশন অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা নিয়ে একটি প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেছিল। এতে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর কী ধরনের চ্যালেঞ্জ আসবে, সেসব বিষয়ও উপস্থাপন করা হয়। জানানো হয়, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার একটি ধারণাপত্র তৈরি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন ও ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য দূর করার লক্ষ্য সামনে রেখে নতুন পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে।
আমাদের এই বাংলাদেশ যেহেতু এখনো নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ, সেহেতু সব ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ থাকাটা স্বাভাবিক। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো দেশজ সম্পদের বৃদ্ধি ঘটানো। আমাদের এখানে দেখা যায়, দেশ উন্নত হচ্ছে, মানুষের আয়ও কিন্তু বাড়ছে। কিন্তু সেই তুলনায় রাজস্ব এখানে বাড়ছে না। নিয়ম হলো আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ বেশি কর দেবে। আমাদের দেশে সেটি হচ্ছে না। তাছাড়া আমাদের অন্যতম চ্যালেঞ্জটি হলো দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা। কেননা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবকে কাজে লাগাতে হলে জনবগণকে দক্ষ করে গড়ে তুলতেই হবে। এরজন্য শিক্ষায় পরিবর্তন আনতে হবে। পরিকল্পনা কমিশনের ধারণাপত্রে বলা হয়েছে, শ্রমশক্তির দক্ষতার অভাব দেশের অর্থনীতির অগ্রগতিতে বড় বাধা। তাছাড়া শ্রমশক্তির ৩২ শতাংশের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়েছে মাত্র ২৬ শতাংশ। সব মিলে মাধ্যমিকের চেয়ে বেশি শিক্ষা রয়েছে শ্রমশক্তির মাত্র ১৯ শতাংশের। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট ছিল ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। বাকি ৩ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকাই অনুন্নয়ন ব্যয়। যা মোট বাজেটের প্রায় ৬০ শতাংশ। আর ২০১৯-২০ অর্থবছরের শিক্ষা বাজেটে ৮৭ হাজার ৬২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা মোট বাজেট বরাদ্দের ১৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এটি জিডিপির ৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। আর ইউনেস্কোর চাওয়া শিক্ষায় জাতীয় বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দ। তাছাড়া আমরা যদি এসডিজির সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন চাই তাহলেও শিক্ষায় বরাদ্দ আরও বাড়াতে হবে। এসডিজির চার নম্বর লক্ষ্যে শিক্ষার উন্নয়নের কথা বলা হলেও এটিই মূলত অন্যান্য লক্ষ্য পূরণের মূল কেন্দ্রবিন্দু। তাই আগামী বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা জরুরি।
মোদ্দাকথা হলো, আগামী দিনে সরকারের জন্য অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা। একই সঙ্গে প্রয়োজন অনুযায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টিও একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ। অবশ্য এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের বেশ কিছু ভালো উদ্যোগ রয়েছে। এগুলো খুবই বাস্তবসম্মত। আমরা জানি, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকার একশোটি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করছে। এতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ ত্বরান্বিত হবে। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার হবে। এভাবে দ্রুত কর্মসংস্থান বাড়বে। কিন্তু দক্ষ কর্মশক্তি করতে হলে কারিগরি শিক্ষায় যে জোর দেয়া দরকার তা কি হচ্ছে?
প্রকাশিত পত্রিকা- দৈনিক প্রথম আলো, ২৪ নভেম্বর, ২০১৯